প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৫ নভেম্বর, ২০২১

ইয়েমেনে ১৩ লাখ মৃত্যুর আশঙ্কা জাতিসংঘের

যুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মৃত্যুর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। নতুন প্রতিবেদনে সব মিলিয়ে ২০৩০ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গত মঙ্গলবার ইউএনডিপি এ রিপোর্ট প্রকাশ করে। খবর আলজাজিরার।

প্রকাশিত রিপোর্টে, নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর মৃত্যু অনুমান করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে যে ৬০ শতাংশ মৃত্যু ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও রোগ প্রতিরোধের কারণে হতে পারে। সম্মুখযুদ্ধ ও বিমান হামলার ফলে মৃত্যুও ঘটতে পারে অনেক। এ বিষয়ে ইউএনডিপির কর্মকর্তা আচিম স্টেইনার বলেন, ‘ইয়েমেনে যুদ্ধের ময়দানের তুলনায় রোগ-ক্ষুধায় বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা যুদ্ধ ক্ষেত্রে মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।’

যুদ্ধে ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ। এরই মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছেন। দেশটির দেড় কোটিরও বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন। ইউএনডিপির নতুন প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছে, বিবদমানপক্ষগুলোর মধ্যে ২০২২-এর জানুয়ারি মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিতে পৌঁছাতে পারে তবে ইয়েমেনিরা ২০৪৭ এর মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে পারবে। ২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী সানা দখলে নেয় দেশটির ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত হাদি। হুতির ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। হাদির পক্ষ হয়ে হুতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।

হুতির ড্রোন গবেষণাগারে হামলা চালাচ্ছে সৌদি : ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা শুরু করতে যাচ্ছে। সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বুধবার জোটের পক্ষ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট এলাকার আশপাশে জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। টার্গেট এরিয়ার মধ্যে রয়েছে সানার একটি নির্মাণাধীন ভবন। সৌদি জোটের দাবি, হুতি বিদ্রোহীরা এটিকে গোপন ড্রোন গবেষণাগার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

এর আগে মঙ্গলবার সানার একটি ‘গোপন’ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে বোমা বর্ষণ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। তবে ওই হামলায় কোনো হতাহত হয়েছে কি না তা জানা যায়নি। ২০১৫ সাল থেকে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে লড়াই করছে সৌদি জোট। ওই সময়ে সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উৎখাত করে রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। গত কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে হামলা বাড়িয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। শনিবার বিদ্রোহী গ্রুপটি জানায় সৌদি আরবের কয়েকটি শহর লক্ষ্য করে ১৪টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close