আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৫ মে, ২০১৯

ভাগ হয়ে যাচ্ছে বিরোধী ভোট

বিষণ্ন মির্জা গালিবের গলি

আসাদউল্লা খান বেগ তথা মির্জা গালিবের এহেন গুণপনার কথা শুনে একটু চমক লাগল বৈ কি। এত বছর পরও তিনি এই ধূলিধূসরিত গলির এক হতদরিদ্র ফলওয়ালার ভোট পেয়ে চলেছেন।

৪০ বছর হয়ে গেল আমি তো গালিবের সঙ্গেই। কী করে ছাড়ব? তার জন্যই তো হপ্তান্তে কটা ফল বেশি বিক্রি হয়। এই মন্দার বাজারে তিনি পেটটা চালিয়ে দিচ্ছেন। কাসিমজান গলি ধরে বল্লিমারানে এসে পৌঁছেছি। এই বল্লিমরান সম্পর্কেই গুলজার লিখেছিলেন, ‘বল্লিমারান কে মহল্লে কি ওহ পেচিদা দলিলো কি সি গলিয়া...।’ অর্থাৎ বল্লিমরান মহল্লার গলিঘুঁজির নকশা জটিল দলিল-দস্তাবেজের মতোই প্যাঁচালো। চাঁদনি চক, বল্লিমারান, চাওড়িবাজার হয়ে জামা মসদিজ পর্যন্ত হেঁটেও এগোনো মুশকিল, এতটাই ঘিঞ্জি। তারই মধ্যে গনগনে রোদের মধ্যে নিভু আলোয় শান্ত হয়ে রয়েছে গালিবের হাভেলি। ঠিক উল্টো দিকেই ৪০ বছরের ‘সঙ্গী’ ফলের ঠেলা নিয়ে দাঁড়ানো বৃদ্ধ, মুখতার। শনি-রোববার গালিবের হাভেলি দেখতে ভিড় হয়। অনেকে বিদেশ থেকেও আসে। বিক্রিবাটাও বাড়ে। বোঝা গেল তার সঙ্গে গালিবের সখ্যের রহস্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close