reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

সাক্ষাৎকার

মেয়েদের সাহস একটু বেশিই : স্বস্তিকা মুখার্জি

ওপার বাংলা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। কামরুল ইসলাম রিফাতের ‘ওয়ান ইলেভেন’ সিনেমায় কাজ করার কথা রয়েছে তারা। এছাড়া ‘আলতাবানু কখনো জোছনা দেখেনি’ সিনেমার কাজ শুরুর বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন তিনি। গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে তার অভিনীত ‘বিজয়ার পরে’ সিনেমার প্রদর্শনী হয়। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলেছেন তুহিন খান নিহাল

আপনার সিনেমার প্রদর্শনীতে শাড়ি পরার বিষয়ে কী যেন বলছিলেন?

- হ্যাঁ। ঢাকায় আসার পর, অনেকেই আমার ছবিটির প্রদর্শনীর বিষয়টি জেনেছিল। ভক্তদের অনুরোধ ছিল সেদিন যেন আমি বাংলাদেশি শাড়ি পরে আসি। আমিও ফেজবুকে একটি পোস্ট শেয়ার দিয়ে লিখেছিলাম, ‘চল ডান’। তাই বাংলাদেশি শাড়ি পরেই অনুষ্ঠানে এলাম। সারা বছর যাদের ভালোবাসা পাই, তাদের কথা রাখতে পারাটা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। সে কথাই বলছিলাম।

ঢাকায় এসে কেমন লাগছে?

- প্রচুর ঘুরছি। অনেকেরই সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে যেখানেই যাচ্ছি এত ভালোবাসা পাচ্ছি, এত উন্মাদনা দেখছি। এটা আমার জন সৌভাগ্যের বলব। বয়স তো কম হয়নি। এখন ৪৩। একটু তো ভয় লাগেই। এই বুঝি ক্রেজটা কমে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এসে সেই ধারণা একদম মন থেকে মুছে গেছে। এখানে আসার পর সবার এত ভালোবাসা পাচ্ছি। সারা বছর তো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাদের ভালোবাসা পাই। তবে এখানে এসে আরো আপ্লুত। এত ভালোবাসার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

কোথায় কোথায় ঘুরলেন?

- এই কয়েকদিনে অনেক জায়গায় গিয়েছি। ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকায়, চারুকলায়, গুলশান আড়ং, পদ্মার পাড়ে মাওয়া গিয়েছিলাম। তবে ইলিশ খাওয়া হয়নি। আসলে আমাদের পেছনে সর্বক্ষণ তাড়া থাকে, কোথাও না কোথাও পৌঁছানোর তাড়া। একটু ট্রাফিকে আটকে ছিলাম, কিন্তু ঘুরে অনেক ভালো লেগেছে।

আগেও এসেছিলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার থেকে শুনতে চাই।

- ২০০৮ সালে একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলাম। এবার বহু বছর পর এলাম শুধু ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে। এখানে আমার অনেক বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে সময় কাটালাম। বেশ আনন্দে দিন চলে যাচ্ছে। তবে এবার মনে হচ্ছে, যানজটটা একটু বেশি। কলকাতার বাড়ি থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে আসতে যতক্ষণ লেগেছে, বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছাতে তার চেয়ে বেশি সময় লেগেছে।

এ দেশের শিল্পীদের কাজ দেখা হয়?

- এখানকার শিল্পীদের আমি বিশাল ফ্যান। বাংলাদেশের প্রচুর কন্টেন্ট দেখি। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ার ফলে অনেক সহজেই সব দেখা যায়। মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশোর কাজের খুবই ভক্ত আমি। বিশেষ করে আমি আফরান নিশোর বিরাট বড় ভক্ত। তার অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি দুবার দেখেছি। এছাড়া ‘সিন্ডিকেট’, ‘কাইজার’ ওয়েব সিরিজসহ তার সব কাজ দেখেছি। চরকির সব সিরিজই আমার প্রায় দেখা শেষ।

বিভিন্ন চরিত্রে আপনার দেখা মিলেছে, যদি জানতে চাই চরিত্র নির্বাচনে স্বস্তিকার বিবেচনা কী?

- নিজের চরিত্র নিয়ে আমাকে বেশ চিন্তা করতে হয়। বিভিন্ন সিনেমায় আমি এমন চরিত্রগুলো করেছি, যারা নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নিতে জানে। যে চরিত্ররা গতানুগতিক নয়। আমার মতে মেয়েদের এমনিতেই একটু সাহস বেশিই। এমন একটা সময়ও এসেছিল, যখন আমার কোনো সিনেমা সেন্সর বোর্ডে গেলে, সেটা না দেখেই রিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সব সময় আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে আমার মতে শিল্পীদেরও একটা দায়িত্ব থাকে, শিল্পী হিসেবে তারা কী ধরনের ন্যারেটিভের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে অথবা চাইছে না। অসংখ্য তরুণ দর্শক আমার সিনেমা দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করে, অনুসরণ করতে চায়। সুতরাং মাথায় সব সময় থাকে, এমন চরিত্র আমার বেছে নেওয়া উচিত, যা সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। যদিও অভিনয়ই আমার রুটি-রোজগার। তবে, শুধু রোজগারের জন্য আমাদের সিনেমা করা উচিত নয়।

বাংলাদেশি দুটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা রয়েছে আপনার?

- আমার খুব ইচ্ছা এ দেশে এসে কাজ করার। এখানকার পরিচিত অনেককেই আমি নির্লজ্জ হয়েই বলি, প্লিজ আমার জন্য ভালো একটি স্ক্রিপ্ট লিখো। আমার এপ্রিলে আসার কথা রয়েছে। তখন কামরুল?ইসলাম রিফাতের ‘ওয়ান ইলেভেন’ সিনেমায় কাজ হওয়ার কথা। এছাড়া ‘আলতাবানু কখনো জোছনা দেখেনি’ সিনেমার কাজ কবে শুরু হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close