নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন শেষ হলো

‘পানি, নদী এবং জলবায়ু পরিবর্তন : সহিষ্ণুতার ক্ষেত্র নির্মাণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন শেষ হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। এদিন সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘নদীর অধিকার : সমন্বিত অববাহিকা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি অধিবেশন পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সাধারণ অনুশীলন রয়েছে যে, প্রধান প্রধান উজানের দেশগুলো নিম্নধারার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। বেশির ভাগ চুক্তিই হলো প্রতিক্রিয়াশীল চুক্তি, যা উজানের বা শক্তিশালী দেশগুলোর দ্বারা একতরফাভাবে করা হয়ে থাকে। তারা সাধারণত পানি ও নদী-সংক্রান্ত বিরোধের সমাধান করতে বহুপক্ষীয় আলোচনার পরিবর্তে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে থাকে। আমরা যদি দক্ষিণ এশীয় পানি ভাগাভাগি চুক্তির দিকে তাকাই, আমরা দেখতে পাই যে, তাদের অধিকাংশই একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য; বিশ্বের অন্যান্য দেশে এমন কোনো অনুশীলন আমরা দেখতে পাই না।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, জলবায়ু এবং পানি আলোচনার ক্ষেত্রে রাজনীতি বোঝা অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তন উল্লেখযোগ্যভাবে খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে এবং এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পানি অপরিহার্য। জলবায়ু রাজনীতি ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে আমাদের জলবায়ু ন্যায্যতার পক্ষে দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে।

ওয়াটারএইড, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ সভ্যতাই নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। আমরা এখন নদীর অবনতি দেখছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বেশির ভাগই মনুষ্য সৃষ্ট। পানি মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য উপাদান, আর আমরা একে দূষিত করেই চলছি। জনগণ সচেতন হলে আমরা এ অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারি। আমাদের উচিত ছিল জলাশয়কে বাঁচানোর উপায় খুঁজে বের করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে পানির অভাব নেই, এই প্রচলিত ধারণা থেকেও আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close