দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে কোটিপতিই ২৬৯ জন। সংসদ সদস্যের ক্ষেত্রে এটি প্রায় ৯০ শতাংশ। এবার সংসদে ব্যবসায়ী রয়েছেন ২০০ জন, যা সংসদ সদস্য সংখ্যার প্রায় ৬৭ শতাংশ। একাদশ জাতীয় সংসদের তুলনায় এবার সংসদে ব্যবসায়ী ও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে অনেক। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

গতকাল মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন’ করে সংস্থাটি। সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এতে জানানো হয়, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা। শতকরা হিসাবে সংসদ সদস্যদের ৬৬.৮৯ শতাংশ ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ী ছিলেন ১৮৫ জন বা সংসদ সদস্যের ৬১.৬৬ শতাংশ।

নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে ২৬৯ জনের। শতকরা হিসাবে ৮৯.৯৭ শতাংশ সংসদ সদস্যের সম্পদ কোটি টাকার ওপরে। একাদশ জাতীয় সংসদে ১ কোটি টাকার বেশি সম্পদশালী সংসদ সদস্য ছিলেন ২৪৭ জন বা ৮২.৩৩ শতাংশ। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, একাদশ সংসদের তুলনায় এবার উচ্চশিক্ষিত সংসদ সদস্যের সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে। এবারের সংসদ সদস্যদের ৮২.৬০ শতাংশ স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। একাদশে এ হার ছিল ৮১ শতাংশ।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব তথ্যের মূল ভিত্তি হলো প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন হলফনামার তথ্য যাচাই-বাছাই করে না। হলফনামায় অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আছে। যে উদ্দেশ্যে আদালত প্রার্থীদের হলফনামায় তথ্য দিতে বাধ্যতামূলক করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপক্ষীয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে আছে যথার্থ বিকল্প থাকা, সবার জন্য সমতল ক্ষেত্র থাকা, ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ফল কী হবে, তা অজানা থাকা, ক্ষমতার রদবদলের সুযোগ থাকা ইত্যাদি। এর মধ্যে এবারে নির্বাচনে অনেক বৈশিষ্ট্য ছিল না।

"