প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় যেসব মাছ...

ক্যানসার একটি প্রাণঘাতী রোগ। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যায়। নিয়ম না মেনে খাবার খাওয়ার কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হই। তবে কিছু খাবার রয়েছে খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে। মনে রাখবেন মাছ যেমন পানিতে তাজা তেমনি আপনার শরীর তাজা মাছে। মাছের রয়েছে প্রচুর গুণ। এই প্রাণিজ খাবারে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, লো-ক্যালোরি আর ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিড। যা হৃদরোগ, ক্যানসার, হাড় ক্ষয়, ব্লাড প্রেসার, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস কমায়। টুনা, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকারেল, ট্রাউট মাছে প্রচুর ওমেগা-থ্রি অ্যাসিড পাবেন। এগুলো ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এখন প্রশ্ন হলো কোন মাছ খাবেন? খেতে পারেন সামুদ্রিক মাছ। ইলিশ, চিংড়ি, রুপচাঁদা, কোরল, টুনা, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকারেল, ট্রাউট মাছসহ সব সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন।

১. মাছ মানেই প্রচুর প্রোটিন ও ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিডের ভরপুর। প্রোটিন প্রতি কোষে পুষ্টি জোগায়। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ২. অন্য প্রাণিজ প্রোটিনের মতো এতে খারাপ ফ্যাট থাকে না। ফলে কোলেস্টেরল বাড়ে না। বরং মাছ থেকে মেলে ওমেগা-থ্রি ফ্যাট। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। ৩. মাছে থাকা ট্রাইগি-সারিড কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না। সঙ্গে থাকা ৯টি অ্যাসিড শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যালজাইমার্স কমিয়ে স্মরণশক্তি বাড়ায়। ৪. প্রচুর ওমেগা-থ্রি অ্যাসিড পাবেন টুনা, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকারেল, ট্রাউট মাছে। এগুলো ডিমেনশিয়া, ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে। ৫. মাছে থাকা ভিটামিন ‘ডি’ হাড়-দাঁত মজবুত করে। কমায় ডায়াবেটিস টাইপ-১। রোজ মাছ খেলে হাড়ের ক্ষয়, ব্রেস্ট-কোলন ক্যানসার আপনার ধারেপাশে ঘেঁষবে না। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-টু শিশুদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৬. এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে। অন্য খাবার দ্রুত হজম করতেও সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখে। এনার্জি বাড়ায়। ৭. জিংক রোগ প্রতিরোধে যেমন সাহায্য করে তেমনি শরীরে থাকা এনজাইম ভেঙে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এতে অন্ত্র ভালো থাকে। ৮. গর্ভস্থ সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য আয়োডিন অতি জরুরি। এ ছাড়া শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থির ক্ষরণ, ঝটপট কথা বলায় সাহায্য করে এই খনিজ। গলগ- রোগ হতে দেয় না। ৯. ম্যাগনেশিয়াম ক্যালসিয়ামকে হজম করতে সাহায্য করে। তাতে হাড়-দাঁতে সহজেই পৌঁছাতে পারে ভিটামিন ‘সি’ এবং মজবুত হয় সেগুলো। শক্ত রপে হৃদপেশি। ১০. হাইপারটেনশন বা ব্লাড প্রেসার কমাতেও সাহায্য করে এই খনিজ। শরীরের কোষ পুষ্ট করে পটাশিয়াম। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ১১. কিডনিতে স্টোন হতে দেয় না। চট করে হাড় ভাঙতে দেয় না। তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close