চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন হত্যা

চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ইকবালের আত্মসমর্পণ

চট্টগ্রামে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন খুনের মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। হাজী ইকবাল এক সময় চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য ৮ বছর আগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্ত্তী বলেন, মহিউদ্দিন খুনের মামলায় গত ২২ জুলাই হাজী ইকবাল, তার ভাই, ছেলে, মেয়ে জামাইসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বন্দর থানা পুলিশ। আদালত এই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। তাদের মধ্যে হাজী ইকবাল গতকাল সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত এক সময় মহিউদ্দিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালের সঙ্গে কাজ করতেন। গত ২৬ মার্চ হালিশহর মেহের আফজল উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা চলার সময় মহিউদ্দিনের ওপর হামলা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপানো হয়। এ ঘটনায় নিহত মহিউদ্দিনের মা নূর নেছার বেগম বাদী হয়ে হাজী ইকবাল, তার ভাই মুরাদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন। হারুনুর রশিদ, বখতেয়ার আলম প্রিন্স ও সাগর নামে মামলার ৩ আসামি গ্রেফতারের পর গত ৫ এপ্রিল মহানগর হাকিম আলম ইমরান খানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতে তারা বলেছিলেন, মূলত হাজী ইকবালকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া, এলাকার কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ এবং এলাকায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরোধিতা করায় মহিউদ্দিন খুন হন। এ ঘটনায় অন্তত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close