reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ এপ্রিল, ২০২৪

শবে কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া

শবে কদর (ফার্সি: شب قدر) বা লাইলাতুল কদর (আরবি: لیلة القدر) এর অর্থ “অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত” বা “পবিত্র রজনী”। ফার্সি ভাষায় “শাব” ও আরবি ভাষায় “লাইলাতুল” অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী, অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এ ছাড়া এর অন্য অর্থ হল ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা।

লাইলাতুল কদর মহান আল্লাহর এক অফুরন্ত দান। নৈকট্য অর্জনের এক পবিত্র রজনি । পাপ মোচন এবং কল্যাণ লাভের এক অনন্য মাধ্যম। ভাগ্য নির্ধারণের মাহেন্দ্রক্ষণ।

আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে বলেছে, আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রজনি কী? মহিমান্বিত রজনি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (সুরা কদর ২-৩)

হযরত আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি ২০১৭)

শবে কদরের নামাজের নিয়ম

শবে কদর আল্লাহর দেয়া উম্মতি মুহাম্মদির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে নফল নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, জিকির বেশি বেশি করা উচিত। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম। শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। কোনো রাকাতে নির্দিষ্ট করে কোনো সুরা পড়া বাধ্যতামূলকও নেই।

শবে কদরে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। নফল নামাজের নিয়তে দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়া যায়। নিয়ত এভাবে করবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।

প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করে যে কোনো সুরা মিলিয়ে নামাজ শেষ করবেন। নামাজের পর জিকির করবেন। আল্লাহু আল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ এ জিকিরগুলো এক শত বার করে জোড়ে জোড়ে পাঠ করে ইস্তিগফার পড়ে দোয়া করবেন দু’হাত উঠিয়ে। জীবনের সব গুনাহর জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। রসুল সা. এর শেখানো দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করবেন।

শবে কদরের দোয়া মাহে রমজানের শেষ দশকের যেকোনো রাত শবে কদর হতে পারে। তাই প্রত্যেকটি বেজোড় রাতে ইবাদত করা উচিত। এ রাতে পাঠ করার জন্য হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া রয়েছে।

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close