সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলার দায় থেকে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলায় কোনো সত্যতা না পাওয়ায় ডিবি পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন বিচারক চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানি গ্রহণ না করে আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। রোজিনা ইসলামের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে ৪ জুলাই রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান।

২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনাকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন উপসচিব তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে ১৮৬০ সালের দ-বিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয় এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

এজাহারে বলা হয়, রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’ তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল। পরের দিন সকালে রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে দুই দিন পর তার জামিন শুনানির দিন ঠিক করে দেন। এরপর তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়। একই বছরের ২৩ মে সকালে রোজিনাকে আদালতের পক্ষ থেকে জামিন দেওয়ার পর বিকালে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন।