বাকৃবি প্রতিনিধি

  ০৬ মার্চ, ২০১৯

যত্রতত্র অনুষদীয় ফটকে বাকৃবিতে সৌন্দর্যহানি

বাংলদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে তৈরি করা হচ্ছে অনুষদীয় ফটক। এতে যেমন নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য, তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন নীল দলসহ লিখিতভাবে এসব অভিযোগ করেন। এ ছাড়া যত্রতত্র গেট নির্মাণে বিরূপ মন্তব্য করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে কামাল রঞ্জিত (কে. আর) মার্কেট সংলগ্ন একটি অনুষদীয় ফটক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদ। এ ছাড়া গাছ কেটে ফটক ও রাস্তা তৈরি করছে কৃষি অনুষদ। এদিকে ভেটেরিনারি অনুষদ তাদের নিজস্ব অনুষদীয় ফটক নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন নীল দল। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ওই লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে ফটক নির্মাণ করা হচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ ছাড়া গবেষণার নামে ছোট ছোট ঘর/ স্থাপনা নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে পশুপালন অনুষদের ফটক তৈরির কাজ বন্ধ করার জন্য শুরু থেকেই লিখিতভাবে অভিযোগ করে আসছিল বলে জানায় কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সবুর। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ‘পশুপালন অনুষদ কে. আর মার্কেটের মধ্যবর্তী রাস্তায় একটি স্থায়ী ফটক নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে ফটক তৈনি না করার জন্য অভিযোগ করি। কিন্তু পশুপালন অনুষদ এরই মধ্যে ওই স্থানে ফটক নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর করে কংক্রিটের তৈরি গেট নির্মাণে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক পরেশচন্দ্র মোদক বলেন, পশুপালন অনুষদ সর্বসাধারণের চলাফেলার রাস্তায় ফটক নির্মাণ করছে। আর এ জায়গাটি তাদেরও না। যে জায়গায় গেট নির্মাণ করছে, সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে থাকে, ওখানে একটি মে ফ্লাওয়ার গাছ রয়েছে। গেট নির্মাণে তারা সে গাছটির গোড়াও অর্ধেক কেটে ফেলেছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক। একটি মহলের প্রচেষ্টায় তারা এ কাজটি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, গেট নির্মাণ বিষয়ে দুই অনুষদের শিক্ষকদের নিজেদের মধ্যে বসে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close