গবাদিপশু অন্যের জমির ফসল খেলে খোয়ারে দেওয়ার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁওয়ে ঘাস খাওয়ার ‘অপরাধে’ থানা-পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে একটি গরুকে। শুধু তাই নয়, ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রীতিমতো থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের ভেতরে ঘাস ও ফসলাদি নষ্টের অভিযোগে গরুটিকে আটক করে থানায় দিয়েছে বিজিবি কর্তৃপক্ষ। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, গরুটিতে ফেরত পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মালিক বিধবা মরিয়ম বেগম। কিন্তু কেউ বিষয়টির সুরাহা করছেন না। গরুটিকে ফেরত পেতে থানায় ও স্থানীয় নেতাদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে জানান বিধবা মরিয়ম বেগম।

তিনি বলেন, ‘একটি পশুর যদি জ্ঞান থাকত, তাহলে কি আর অন্যখানে গিয়ে ঘাস ও ফসল নষ্ট করত। আমি বারবার অনুরোধ করার পরও বিজিবি আমার কথা শুনেনি।’ তিনি আরো বলেন, ‘তারা (বিজিবি কর্তৃপক্ষ) আমার কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা চায়। আমি টাকা না দিতে পারায় বিজিবির এক সদস্যের পা পর্যন্ত ধরেছি। কিন্তু তার পরও গরুটিকে থানায় দেয় তারা। এখন থানা পুলিশ গরুটিকে ছাড়ছে না। এখন কীভাবে গরুটিকে ফেরত পাব তার কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।’

ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, বিজিবি যদি অভিযোগ তুলে নেয়, তাহলে গরুটিকে ফেরত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত নই।’ এ সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

"