নওগাঁ প্রতিনিধি
শিক্ষায় পিছিয়ে নওগাঁর হরিজন শিশুরা
দেশের জনগোষ্ঠিকে শতভাগ শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। পাশাপাশি কাজ করছে বেসরকারি সংগঠনগুলোও। এ ক্ষেত্রে অনেকটা সফলতা এলেও এখনও পিছিয়ে আছে নওগাঁর হরিজন সম্প্রদায়ের শিশুরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতা দূর করতে পারলে এখানেও আসবে সফলতা। নওগাঁ জেলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠির একটি অংশ হচ্ছে হরিজন। প্রথাগতভাবেই যারা করে থাকেন শৌচাগার পরিষ্কারসহ সমাজের সর্বনিম্ন সব কাজ। যদিওবা এ কাজের জন্য উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই জোটে না তাদের ভাগ্যে। শিক্ষার দিক থেকেও পিছিয়ে এ জাতীগোষ্ঠির মানুষগুলো। বিশেষ করে শিশুরা এদিক থেকে পিছিয়ে আছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
নওগাঁর হরিজন পল্লিতে বসবাসকারি প্রেরণা সাহা বলেন, পরিবারের কাজ আর পড়ালেখার খরচ সংকুলান করতে না পারায় লেখা-পড়া সুযোগ হয়ে উঠে না তাদের সন্তানের। হরিজন আন্দোলনের সভাপতি ভানুভাজফর বলেন, আমাদের মন চাইলেও আমাদের সন্তানকে পড়াশোনা করাতে পারছি না। তাছাড়া সমাজের মানুষের সঙ্গে হরিজন হওয়ার কারণে আমরা এবং আমাদের সন্তানরা সেভাবে মিশতে পারি না, তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি হরিজনদের জন্য আলাদা স্কুল করা হোক।
নওগাঁ সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খাঁনের মতে, সচেতনতা, ক্ষুধা আর দারিদ্রতার কারণেই এখনও শিক্ষায় পিছিয়ে আছে এই হরিজন শিশুরা। বাল্যবিয়ে একটি কারণ বলেও মনে করেন তিনি। তিনি আরও জানান, হরিজনদেরকে শতভাগ শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকলকেই রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নওগাঁ জেলাজুড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আছে প্রায় ৫ হাজার। দেশ গঠন তথা সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে তাদেরও।
"