ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

কৃষি জমিতে হ্যান্ড ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বছরের পর বছর ধরে চলছে হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ হ্যান্ড ড্রেজার ব্যবহার করে ফসলি জমি খনন। জমির গভীর তলদেশে পাইপ বসিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। প্রতিদিন চারটি ড্রেজার বসিয়ে অবেধভাবে বালু উত্তোলণ করে মাসে কয়েক কোটি টাকার বালু বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে প্রায় ৬ হেক্টর ফসলি জমি বিনষ্ট হয়েছে। হরহামেশাই বালু তোলায় আশেপাশের জমির মাটি ধসে পড়ছে। হুমকীর মুখে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। জমির পাশে অবস্থিত ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক খুঁটিও যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। গত পাঁচ বছর ধরে অবিরাম চলছে ড্রেজার দিয়ে জমির নীচ থেকে বালু উত্তোলন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তিনলাখ পীর এলাকায় সৈয়দাবাদ গ্রামে চলছে ভয়াবহ এ ড্রেজিং কাজ। প্রভাবশালী একটি মহল জমির মধ্যে পাইপ বসিয়ে বালি উঠাচ্ছে। এতে ফসলি জমিতো বটেই আশপাশের বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকর্মী রাস্তার পূর্বপাশে সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানার ২৫ বিঘা ফসলি জমির নীচ থেকে অর্ধশত ফুট গভীর করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণ করছে।

ক্ষতগ্রিস্থ জমির মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, তার ১৫ শতক জমি, সাদ্দাম হোসেনের ১২০ শতক জমি, বাছির মিয়ার ৩০০ শতক, বাবুলের ৬০ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে বালি তোলা হচ্ছে। বাঁধা দেওয়ায় আমাকে এবং আমার ছেলেকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। প্রতিবাদ করায় আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে জানান তিনি।

এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। পরে মানববন্ধন করে। এ সময় সংক্ষিপ্ত এক সভায় ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলণ বন্ধ করে জমি রক্ষার দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্টদের কাছে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। শীঘ্রই আমরা কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close