মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মনোহরদীতে কলেজছাত্রসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম

নরসিংদীর মনোহরদীতে কলেজছাত্রসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সেনাবাহিনীতে কর্মরত সার্জেন্ট নূরুল ইসলাম রেখা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের চন্ডিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন আতুশাল গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন, আলফাজ উদ্দিনের ছেলে মামুন মিয়া ও শাহাবুদ্দিনের ছেলে আল আমীন। আহতদের মধ্যে মামুনের দুই হাতের পাঁচ আঙুল বিচ্ছিন্ন, আল আমিনের এক কান বিচ্ছিন্ন এবং মনির হোসেনের নাক ও চোখ কেটে যায়। বর্তমানে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আতুশাল গ্রামের মনির হোসেন মোটরসাইকেলে প্রাইভেট যাওয়ার সময় চন্ডিতলা মোড়ে অসাবধানতাবশত একই গ্রামের বিতান মিয়ার পায়ের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেলটি যায়। এ সময় বিতান মিয়া, মনির হোসেনের গতিরোধ করে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। মনির এর প্রতিবাদ জানালে বিতান ও তার সঙ্গে থাকা সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট নূরুল ইসলাম রেখা, হেরেম উল্লাহ, আখের, আবদুল বাতেন, কুদ্দুস মিয়া, মিজানসহ ১০-১২ জন মিলে মনিরকে মেরে আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মনির হোসেন তার পরিবারকে ঘটনা সম্পর্কে জানায়। এ সময় তার মামাত ভাই আল আমিন ও মামুন মিয়া মনির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে চন্ডিতলা মোড়ে গিয়ে সার্জেন্ট নূরুল ইসলাম রেখা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মারার কারণ জিজ্ঞেস করলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনের মাথায় কোপ দেয়। এতে মামুন দুই হাত দিয়ে আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তার দুই হাতের পাঁচটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। এ সময় মামুনকে বাঁচাতে আল আমীন ও মনির এগিয়ে এলে আল আমীনের মাথায়ও আঘাত করার চেষ্টা করলে তার ডান পাশের কানটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মনিরের নাক ও বাম চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ ঘটনায় আহত আল আমীনের বাবা শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেন।

সার্জেন্ট নূরুল ইসলাম রেখা বলেন, ‘মারামারির সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close