মহসীন শেখ, কক্সবাজার
কক্সবাজারে এলপি গ্যাস বিক্রিতে অনিয়ম
রমজানে এলপি গ্যাসের মূল্য ৯৫০ টাকা, মনিটরিংয়ে নামছে প্রশাসন
কক্সবাজার জেলায় এলপি গ্যাস বিক্রিতে চলছে সীমাহীন অনিয়ম। একদিকে ওজনে ঠকানো হচ্ছে, অন্যদিকে একেক স্থানে একেক রকমের দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারে বর্তমানে গ্যাস ব্যবহারকারী রয়েছে ৫০ হাজারেও বেশি। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। একেক স্থানে একেক দামে এলপি গ্যাস বিক্রি হওয়ায় বিপাকে পড়ছে ক্রেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরে বর্তমানে এক হাজার থেকে এক হাজার ২৫০ টাকায় এলপি গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও এই গ্যাসের সরকারের নির্ধারিত মূল্য ৭৫০ টাকা। গত বুধবার সকালে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার কিনেছেন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ওই গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নিয়েছে এক হাজার ৫০ টাকা। প্রশাসন বিভিন্ন সময় দরদাম ঠিক করে দেয়, কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেই নির্দেশনা তোয়াক্কা করেন না।
কক্সবাজার এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাদের সমিতির আওতাভুক্ত ব্যবসায়ী রয়েছে ৩৭ জন। এর বাইরে আরো প্রায় ৫০টি এলপি গ্যাস বিক্রয়ের দোকান রয়েছে। সেগুলো লাইসেন্সভুক্ত নয়। তাদের সমিতির আওতাভুক্ত ব্যবসায়ীরা এলপি গ্যাস সর্বোচ্চ ৯৫০ টাকা করে বিক্রি করে। কিন্তু সমিতির বাইরের ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে বদনাম হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রমজান উপলক্ষে কক্সবাজারে পদ্মা ও যমুনা গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল ইসলাম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে; যারা বড় গ্যাস সিলিন্ডার খুলে তিন থেকে চারটি ছোট গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি করে। এর ফলে গ্রাহকেরা প্রতারিত হয়। এ ছাড়াও গ্যাস সিলিন্ডার খোলার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, এলপি গ্যাস নিয়ে এতদিন যা হওয়ার হয়েছে, কিন্তু এখন থেকে আর নয়। বিশেষ করে পবিত্র রমজানে সর্বোচ্চ ৯৫০ টাকার মধ্যে এলপি গ্যাস বিক্রি করতে হবে। এটি মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম মাঠে থাকবে। যদি কোনো নয়-ছয় হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"