হাসান ইমন
কেনাকাটার প্রস্তুতি
হাল ফ্যাশনে নান্দনিকতা
একটা সময় ছিল বিভিন্ন কল্পচিত্র সুই-সুতোর নিপুণ শৈল্পিক কর্মে জীবন্ত রূপ পেত কাপড়ে। কখনো প্রিয়জনকে জানাতে রুমালে ফুটে উঠত কবিতার পঙ্ক্তি। আবার কখনো নকশিকাঁথায় ফুটে উঠত জীবনপ্রবাহ। সেই বিষয়টি নানা আধুনিকায়নের মাধ্যমেই যুক্ত হয়েছে ফ্যাশনের সঙ্গে। ফ্যাশন ডিজাইনাররা দেশীয় ঐতিহ্যের সুই-সুতোর ব্যবহারকে নিয়ে এসেছেন পোশাকে। দেশীয় সংস্কৃতির আলোকে একুশে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ও পহেলা বৈশাখে নতুনত্ব নিয়ে আসে এই দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো। বিশেষ করে ঈদ সামনে রেখে দেশীয় ঐতিহ্য আর আভিজাত্যে বৈচিত্র্যময় পোশাক নিয়ে সেজেছে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক সব পোশাক। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শো-রুমে গিয়ে দেখা যায় নতুন ডিজাইনের বাহারি সব পোশাক।
রঙ বাংলাদেশ : আসছে ঈদুল ফিতর। ঈদ উদ্যাপনকে আনন্দময় করতে রঙ বাংলাদেশ আয়োজন করেছে বিশেষ ঈদ সংগ্রহের। এই সংগ্রহে রয়েছে শাড়ি, সিঙ্গেল কামিজ, সালোয়ার-কামিজ, আনস্টিচড সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল ওড়না, পাঞ্জাবি, শার্ট ও শিশুদের পোশাক। এ ছাড়াও আছে গয়না ও বিশেষ উপহার সামগ্রী হিসেবে মগ।
এবার ঈদে প্রচ- গরম থাকবে। তাই পোশাকের কাপড় হিসেবে সুতিকেই প্রাধান্য দিয়েছে রঙ বাংলাদেশ। পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে বলাকা সিল্ক, হাফ সিল্ক, দুপিয়ান সিল্ক, এন্ডি কটন এবং এন্ডি সিল্ক। অন্যদিকে ছেলেদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, শার্ট, আর টি-শার্ট। আর বাচ্চাদের জন্য ফ্রক, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি, শার্ট ও টি-শার্ট রয়েছে। এ ছাড়া লুঙ্গি, গামছা, স্যান্ডো গেঞ্জি ও বিভিন্ন ধরনের শোপিস এবং লেডিস ব্যাগ, রেডিমেট ব্লাউজ ও লেডিস পার্টস রয়েছে।
ঈদুল ফিতরে রঙ বাংলাদেশের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে তাদের নিজস্ব পণ্য রঙ শাড়ি। এর দাম ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৫০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া তাঁতের শাড়ি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫০ থেকে আট হাজার টাকা। থ্রিপিস দুই হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা ও আনস্ট্রিজ (কাটা কাপড়) দাম নির্ধারণ করেছে এক হাজার ৫৫০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা। আর ছেলেদের পাঞ্জাবির মধ্যে বড়দের পাঞ্জাবির দাম নির্ধারণ করেছে ৬৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও বাচ্চাদের পাঞ্জাবি ৩০০-৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে রঙ বাংলাদেশ-এর আউটলেট ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম হিরা বলেন, ঈদ সামনে রেখে রঙ বাংলাদেশ নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে এসেছে। আর যেহেতু এখন গরমকাল চলছে, সে গরমের আদলে তৈরি করা হয়েছে মেয়ে ও ছেলেদের সুতির নতুন পোশাক। আশা করি আমাদের পোশাকগুলো গত বছরগুলোর চেয়ে এবার ক্রেতাদের নজর কাড়বে।
রঙ বাংলাদেশের একুশে সংগ্রহ পাওয়া যাবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের যেকোনো আউটলেটে। আর ঘরে বসে পেতে চাইলে রঙ ওয়েবসাইটে (www.rang-bd.com) গিয়ে অর্ডার করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা রয়েছে।
এ ছাড়া কেবল নিজের জন্য নয়, প্রিয়জনদের দিতে পারেন রঙ বাংলাদেশ-এর গিফট চেক। তারা পছন্দ করে কিনে নিতে পারবে রঙ বাংলাদেশ-এর সম্ভার যেকোনো আউটলেট থেকে।
অঞ্জনস : ঈদ সামনে রেখে নতুন কালেকশন রয়েছে অঞ্জনস ব্র্যান্ডের। বাচ্চাদের পোশাক, ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট, মেয়েদের থ্রিপিস, ফতুয়া, সালোয়ার কামিজ, শাড়িসহ নিজস্ব প্রোডাক্টস আর ডিজাইনে সেজেছে অঞ্জনস। আর এক্সক্লুসিভ হিসেবে থাকছে সিল্ক, হাফসিল্ক, মসলিন, কাতান ও জামদানি শাড়ি। ঈদের পোশাক হিসেবে আরো থাকছে শাড়ির সঙ্গে মিল করে গয়নাসহ লাইফস্টাইলের রকমারি প্রোডাক্ট।
অঞ্জনস ব্র্যান্ডে স্বল্প দামে পাওয়া যাবে নানা পোশাক। পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ৮৫০ থেকে থেকে ১০ হাজার টাকায়, ফতুয়া ৯০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। মেয়েদের ফতুয়া এক হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। বাচ্চাদের পোশাক ৬০০ টাকা থেকে বিভিন্ন দামে। শাড়ি দুই হাজার ৫০০ থেকে ৩০ হাজার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্র্যাঞ্চ ম্যানাজার আবদুল আলীম জানান, এবারে ঈদে অঞ্জনে থাকছে নতুন কালেকশন। পাঞ্জাবি, টি শার্ট, শার্ট, থ্রিপিস ও শাড়িতে রঙের পরিবর্তন। যা সব বয়সী ছেলে-মেয়েদের পছন্দ হবে। তিনি আরো বলেন, এবার যদি রাজনৈতিক কোনো সমস্যা ও জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা না থাকে তাহলে গতবারের চেয়ে এবার বেচাবিক্রি ভালো হবে।
"