বিশেষ প্রতিবেদক, রাজশাহী

  ২১ জুন, ২০১৯

‘তামাকপণ্যে প্রতিদিন ৪৪১ জনের মৃত্যু’

তামাক ও তামাকপণ্য গ্রহণের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪৪১ জনের অকালমৃত্যু হচ্ছে। সেই হিসেবে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার জন। ফলে তামাকের কারণে অকাল মৃত্যুরোধে জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ‘তামাকে হয় ফুসফুসে ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দিবসটি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়।

আর রাজশাহীতে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির অংশগ্রহণ ও সচেতনতায় দিবসটি উপলক্ষ্যে এদিন বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদেরের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় রাজশাহী জুডিশিয়াল মুন্সিখানার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রনী খাতুন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এসিডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শাহীনুর রহমান।

এ সময় তামাকমুক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এসিডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শাহীনুর রহমান বলেন, ‘১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে। তখন থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো বিষয়টি নজরে এনেছে যে, ধূমপানের ক্ষতির পাশাপাশি অন্য সব প্রকার তামাকদ্রব্য সেবন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শুধু ধূমপান থেকে নয়; এই দিনে সব প্রকার তামাকদ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।’

এদিকে দিবসটি উপলক্ষ্যে নাটোর জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এবং এসিডির অংশগ্রহণে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর সরকারি গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নাটোর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। নাটোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আবিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ। এ সময় এসিডির প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা রানী বিশ্বাসসহ জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে এবং এসিডির সচেতনতায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূর্বের স্থানে শেষ হয়। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. সায়ফুল ফেরদৌস মো. খায়রুল আতাতুর্ক, মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা পাপিয়া, জুনিয়র স্বাস্থ্য অফিসার মোছা. শামসুন্নাহার, এসিডির প্রোগ্রাম অফিসার মো. তুহিন ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগের বাকি পাঁচ জেলা অর্থাৎ নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও বগুড়ায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে এবং এসিডি ও এর পার্টনার অর্গানাইজেশন ‘পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (পিইউপি)’ ও ‘ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিসি)’ এর অংশগ্রহণে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয় বলে বৃহস্পতিবার সন্ধায় নিশ্চিত করেছেন এসিডির মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুল। উল্লেখ্য, ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত এ বছর সারা দেশে ২০ জুন বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close