এম এ রউফ, সিলেট
সিলেটে অন্ধকার ঠেলে আলোকিত ভুবনে হাজার মানুষের জীবিকা
পূর্ব গগণে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। অন্ধকার ঠেলে আলোকিত হচ্ছে ভুবন। ভোরের নগরীতে চারিদিকে যখন নিস্তব্ধতা, তখনই বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা যায় সিলেটের কাঁচা বাজারে। পাইকারি এই বাজার শুরু হয় সুবেহ সাদেকের পর। আর সব কোলাহল শেষ হয় ১০টা কিংবা ১১টায়। আব্দুস সালাম বাড়ি দিরাই ঠেলায় সবজি বিত্রুয়তা ১৫ বছর ধরে সিলেট নগরীর আনাচে-কানাচে সবজি বিত্রুয় করে ৮সদস্যে ফ্যামেলি চালান। ফজরের আযানের আগে ঘুম থেকে উঠতে হয় সবজির বাজারে গিয়ে সবজি কিনে ঠেলায় সাজিয়ে ৮টার সময় বিভিন্ন অলিগলিতে বিত্রয় করে রাত১০ নাগাদ বাসায় ফিরতে হয়। এভাবে জীবন সংগ্রামে গত ১৫ বছর ধরে চলে আব্দুস সালামও সালামের মতো হাজারও সবজিওয়ালার জীবন। নগরীর সুবহানীঘাটে ট্রেড সেন্টার ও হাজি নবাব আলী মার্কেট সিলেটের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার। এখানে চলে আড়ৎদারী ব্যবসা। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয় এই বাজারে। এখানে কর্ম করে চলে হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা।
তবে, সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে অসুবিধাও। স্থানীয় কতিপয় লোক ও পুলিশের শেলটারে সকাল বেলা রাস্তার ওপর বাজার বসানো হয়। এতে পথচারীদের চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হয়। আর সড়কের পাশে স্ট্যান্ড বসায় লেগে থাকে যানজট।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারী বড় দোকান রয়েছে ২২টি এবং ছোট আড়ৎ ৬৩টি। আর ক্ষণস্থায়ী দোকান ৩৫টি। এখানে আড়ৎদারী কমিশন এজেন্ট, পাইকারী ও খুচরা বিক্রিও চলে। টমেটো, লতা, কচু, মুখি, আলু, নাগামরিচ, কাঁচা মরিচ, লেবু, সাতকরা, ভেটের ডুঙ্গিসহ বিভিন্ন রকমারী শাক সবজি উঠেছে বাজারে। পাইকাররা তাদের চাহিদামতো মালামাল কিনছেন। আর কাঁচা বাজার কেন্দ্রিক মিনি ট্রাক ও ইমা-লেগুনার স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে রাস্তার পাশে। যে কারণে যানবাহনের অপ্রতুলতা নেই। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেলো, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শাক সবজির চালান ওঠে এই বাজারে। পাইকাররা এখান থেকেই কাঁচা মাল কিনে নিয়ে যান উপজেলা সদরের বিভিন্ন হাট-বাজারে। আৎড়দার আলী হোসেন বলেন, বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে সবজি আসে। বিক্রেতারা সবজি এনে আমাদের কাছে দেন। আমরা যৎ সামান্য কমিশনে তা বিক্রি করে দেই।
তিনি বলেন, অনেক কৃষক আছেন যারা নিজেরাই বসে সবজি বিক্রি করে যান। সিলেটের মধ্যে এই কাঁচা বাজারের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। কাঁচা বাজারকে ঘিরে জীবিকা নির্বাহ করছেন স্বল্প পুজির ব্যবসায়ীরাও।
"