গাজীপুর প্রতিনিধি
সিটি করপোরেশন নির্বাচন
গাজীপুরে আগাম প্রচারসামগ্রী উচ্ছেদ শুরু
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আগাম প্রচারসামগ্রী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ম-লের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের সময় চৌরাস্তা এলাকায় জাগ্রত চৌরঙ্গীর পাদদেশসহ আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরসহ জেলা প্রশাসন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন ম-ল বলেন, ‘নির্বাচনের আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না হওয়া পর্যন্ত কেউ কোনো পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, বিলবোর্ড লাগাতে পারবেন না। যদি কেউ লাগায় তবে আচরণ বিধি লঙ্ঘিত হবে। যারা আচরণ বিধি বা নির্বাচনের আইন লঙ্ঘন করবে সে ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেতন। যাতে কেউ লঙ্ঘন না করে সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সবার সমন্বয়ে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে আমরা সবাই সচেতন। আমরা একত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি। ভোটার, জনগণসহ গাজীপুরবাসী সবাই নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যাতে নির্বাচন নিরপেক্ষ, অবাধ হয় এবং সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থী সমান সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্সে বিশ্বাসী। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যাতে সুষ্ঠু ও ভালো থাকে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সচেতন।’ তিনি সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের লাগানো পোস্টার, বিলবোর্ড নিজ উদ্যোগে অনতিবিলম্বে লামিয়ে ফেলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গত ৩১ মার্চ। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১২ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৫-১৬ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫ মে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এ সিটি করপোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন।
"