নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বেশির ভাগ নিরাপত্তা ক্যামেরাই অচল
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় লাগানো বেশির ভাগ নিরাপত্তা ক্যামেরাই অচল হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও চুরিও হয়ে গেছে সিসি ক্যামেরা। বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশ বলছে, এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারিতে আরো তৎপর হচ্ছেন তারা।
অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান সময়ে অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার বিকল্প নেই। শুধু ক্যামেরা স্থাপন করলেই চলবে না, এগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।
সম্প্রতি রাজধানীর দক্ষিণ মহাখালী এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। ঘটনাস্থলে ছিল চারটি নিরাপত্তা ক্যামেরা। ঘটনার পর পুলিশ অনুসন্ধানে দেখা যায়, সবগুলো ক্যামেরাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন। হয় হত্যাকান্ডের আগে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে অপরাধীরা। না হয় আগে থেকেই অকার্যকর ছিল। তবে হত্যাকান্ডের দুদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এলাকায় আবারও নতুন করে স্থাপন করা হচ্ছে নিরাপত্তা ক্যামেরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে রয়েছে নিরাপত্তা ক্যামেরা। তবে কোনোটির নেই সংযোগ। কোনোটিতে রয়েছে ক্যামেরার বাইরের কাঠামো, তবে উধাও ভেতরের ডিভাইস। এ ছাড়া ক্যামেরা বসানো হয়েছে যে জায়গায়, সেখান থেকে মানুষের গতিবিধিও নজরে আসে না ভালোভাবে।
গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘কিছু কিছু ক্যামেরা আছে অনেক পুরোনো। যেকোনো সময় কিন্তু সিসি ক্যামেরা নষ্ট হতে পারে। এগুলো পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার অপরাধী ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে। কিন্তু এই প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যাবে তখনই যখন এর রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারি যথাযথভাবে হবে।
অপরাধবিজ্ঞানী শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, ‘প্রযুক্তির সুবিধা পেতে হলে, যে উদ্যোগগুলো দরকার তা না করলে টাকাগুলো অপব্যয় হবে।’
রাজধানীকে নিরাপত্তা ক্যামেরার আওতায় আনতে জাইকার সহায়তায় ২০০৮ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে যে কটি অপরাধের জট খুলেছে তার বেশির ভাগই ব্যক্তি উদ্যোগে স্থাপিত ক্যামেরার ফুটেজ।
"