নিজস্ব প্রতিবেদক
মুনাফার জন্য যাতে আমিষ খাত ক্ষতিগ্রস্ত না হয় : রাষ্ট্রপতি
মৎস্য ও পশু খাদ্যের মান নিয়ে আজকাল প্রায়ই প্রশ্ন উঠে উল্লেখ করে ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য যাতে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল শনিবার প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বলেন, প্রাণিজাত আমিষের বেশির ভাগই পূরণ হয় চাষের মাছ-মাংস দিয়ে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এসব খেয়ে বড় হচ্ছে। তাই ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য যাতে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদের রফতানির দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের রফতানি বাণিজ্যেও এটি একটি উল্লেখযোগ্য খাত। অতীতে কিছুসংখ্যক অসাধু মুনাফালোভী ব্যক্তির কারণে এ খাতের সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদেশে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
বর্তমানে রফতানি বাজার তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। তাই আমাদের পণ্য গুণে-মানে সেরা হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের সমন্বয় থাকায় প্রয়োজনে যেকোনো সময় বাজারে ডিম, দুধ, মাংস সহনীয় মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায়। তবে কেবল ভোক্তার বিষয় বিবেচনা করলেই চলবে না। আমাদের উৎপাদকদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রফতানির দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। বর্তমানে এ খাতে সীমিত পরিমাণে রফতানি হচ্ছে। রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী হতে হবে। এজন্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, গবেষণাগার, দক্ষতা উন্নয়ন ও আইনী কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, মৎস্য, হাঁস-মুরগি চাষ ও গবাদিপশু পালন দেশে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের বৃহৎ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে হলে কৃষিবিদ, কৃষিবিজ্ঞানী, কৃষক, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে। উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে যথাযথ মান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমরা ইতোমধ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছি। কিন্তু শুধু পেট ভরে ভাত খেলে মেধা ও মননের পূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। এখন আমাদের লক্ষ্য সুষম পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা। এ ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদের ভূমিকা অপরিসীম।
"