ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছেন স্মিথ
নানা জল্পনা-কল্পনা ও নাটকীয়তার পর অবশেষে বাংলাদেশ এসেছে অস্ট্রেলিয়া দল। দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে স্টিভ স্মিথরা এখন বাংলাদেশে। চুক্তি-সংক্রান্ত ঝামেলায় শেষ মুহূর্তেও অনিশ্চিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার সফর। তবে শেষ পর্যন্ত ঝামেলা মিটিয়ে সফরে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত স্টিভেন স্মিথরা। এখন তাই সব ভুলে ক্রিকেটেই মনোযোগ দিতে চান অজি অধিনায়ক। বাংলাদেশের মাটিতে নিজেদের অজেয় থাকাটা ধরে রাখতে চান স্মিথ। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনাও শুরু করে দিয়েছে অজিরা। এদিন বাস থেকে নেমে জিমে ঢুকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া দল। কিটসব্যাগ রেখেই সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে সঙ্গে নিয়ে স্মিথ যান গেলেন শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট দেখতে। উপমহাদেশের কন্ডিশন স্পিনারদের জন্য স্বর্গ। সেভাবেই মাঠ তৈরি করে প্রস্তুত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজেও সবার চোখ থাকবে স্পিনারদের দিকে। অজি অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ শুধু স্পিনারদের দিকেই তাকাচ্ছেন না। তার বিবেচনায় রিভার্স সুইংও হয়ে উঠতে পারে একটি ফ্যাক্টর।
উইকেট দেখেই স্মিথ মুখোমুখি হলেন সংবাদমাধ্যমের, ‘উইকেট যেমনই হোক মানিয়ে নিতে হবে। তবে বৃষ্টি ছিল, কিউরেটররা কতটুকু সময় পেয়েছেন, সেটাও একটা ব্যাপার। ম্যাচের দিনই দেখা যাবে। স্পিন অবশ্যই একটা বড় ভূমিকা রাখবে। ধারণা করছি রিভার্স সুইংও পাওয়া যাবে। পার্থক্য গড়ে দেবে স্পিন ও রিভার্স সুইং।’
টেস্ট সিরিজের প্রসঙ্গ যতবারই উঠেছে বাংলাদেশের প্রশংসা ঝরেছে স্মিথের কণ্ঠে, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি সিরিজ হবে, কেননা বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খুব ভালো করছে। তাদের দলে কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, যারা খুবই ভয়ংকর।’
এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত সফরে এসে স্বাগতিক দলকে সিরিজে ভারতকে দারুণ চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কাছাকাছি কন্ডিশন হওয়ায় সে অভিজ্ঞতাকে আমলে নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন স্মিথ। সেই সঙ্গে এই সফরে এসে দারুণ উচ্ছ্বসিত বলেও জানালেন তিনি, ‘বাংলাদেশে এসে ভালো লাগছে। আমরা খুবই উত্তেজিত, চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ হবে। ইদানীং বাংলাদেশ দেশের মাটিতে খুব ভালো করছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকবে, দারুণ কিছু ক্রিকেট দেখা যাবে।’
দীর্ঘ ১১ বছর পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১১ সালে যে সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল, সেটা ২০১৫ পেরিয়ে ২০১৭ সালে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই এ দলের কারো। অধিনায়ক স্মিথ তো মনেই করতে পারছেন না ২০০৬ সালে ওই সময়ে নিজে কী করেছিলেন, ‘১০ বছর আগের কথা (আসলে ১১ বছর)। আমার বয়স তখন আঠারো। আমি মনে করতে পারছি না কী করেছিলাম। সম্ভবত নিজের ভবিষ্যতের পথ খুঁজছিলাম। নিউ সাউথ ওয়েলস দলের আশপাশেও ছিলাম না। অনেক আগের কথা। এরপর অনেক কিছু বদলেছে।’ তবে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৭ বছরেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ খেলতে পেরেছে মাত্র চারটি টেস্ট। এ পরিসংখ্যানে রীতিমতো বিস্মিত অজি অধিনায়ক, ‘১৭ বছরে মাত্র চার টেস্ট, কিছুটা বিস্মিত আমি। যারা সূচি তৈরি করে তারাই ভালো বলতে পারবে। এটা প্রশাসনিক ব্যাপার।’
নিরাপত্তা নিয়েও সন্তুষ্ট স্মিথ বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ নিরাপত্তা নিয়ে অনেক কাজ করেছে। সব কিছুই ভালো মনে হচ্ছে। আশা করি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজ হবে।’
"