ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘পেসারদের দায়িত্ব নিতে হবে’
বাংলাদেশের পেস বিভাগ যে কোনো দলের জন্য সমীহ করার মতোই ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে আক্রমণে সেই ধার নেই টাইগারদের। টেস্ট ক্রিকেটে এই দুর্বলতা চোখে পড়ার মতোই। পাঁচদিনের ক্রিকেটে জিততে হলে স্পিনারদের সঙ্গে পেসারদেরও পারফর্ম করতে হবে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলামও মানছেন এটা।
ভালো বোলিং ছাড়া টেস্টে ভালো করার কোনো উপায় নেই। টেস্ট জিততে চাইলে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের টেস্টে এখনকার বড় বাধা বৈচিত্র্যহীন বোলিং আক্রমণ। স্পিনারের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ। সেখানেও মূলত বাঁ-হাতি স্পিনই ভরসা। দেশ আর দেশের বাইরে সাম্প্রতিক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতায় দলের পেস আক্রমণের দুর্বলতার কথাটা স্বীকার করছেন শফিউল ইসলাম। তিনি মনে করেন টেস্টে পেসারদের আরও বেশি ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। তবে দেশে কোনো পেসার-সংকট দেখছেন না তিনি। বরং দাবি করছেন, বাংলাদেশের পেস বোলিং অনেক শক্তিশালী। শুধু সামর্থ্য অনুযায়ী পেসাররা দিতে পারছে কি না, সেটাই দেখার।
চট্টগ্রামের পাট চুকিয়ে বাংলাদেশ দল এখন ঢাকায়। কাল মিরপুরে শফিউল সাংবাদিকদের বলেছেন, ?‘আমাদের দেশে টেস্টে স্পিনাররাই বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সে তুলনায় আমরা পেসাররা সেভাবে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারি না। আমাদের পেসারদের অবশ্যই ওই জায়গাটায় উন্নতি করার বিষয় রয়েছে। শুরু থেকেই পেসারদের আক্রমণাত্মক হতে হবে। আমাদের জোরে বল করার মতো বোলার আছে। পেসারদের মধ্যে বৈচিত্র্যও আছে। জায়গামতো বোলিং করতে পারলে আমাদের পেসাররা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করতে পারবে।’
বাংলাদেশের পেস আক্রমণের প্রতীকী ছবি যেন শফিউল নিজে। দাঁড়াতে দাঁড়াতে আবার কোমর ভেঙে যায়। শফিউল নিজেও যখনই দারুণ কিছু করেন, এরপরই হারিয়ে যান যেন। মূল কারণ চোট। শফিউলও বললেন, ‘আমিও ইনজুরির বিষয়টি নিয়ে অনেক উদ্বিগ্ন। যখনই দলে ফিরি, একটা না একটা ইনজুরিতে পড়ে যাচ্ছি। আসলে এখানে আমার কিছুই করার নেই। চেষ্টা করছি ইনজুরিতে থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু পারছি না। এই মুহূর্তে আমি সম্পূর্ণ ফিট, আশা করি এবার সুযোগ পেলে সামর্থ্যরে পুরোটা দিতে পারব।’
পেসাররা অবশ্য অভিযোগ করতে পারেন- কন্ডিশন, দলের গেম প্ল্যানে তো পেসার-বান্ধব নয়। তবে উইকেট যেমনই হোক ম্যাচে পেসারদের প্রভাব থাকাটা জরুরি মনে করছেন শফিউল। বলেছেন, ‘উইকেট যেমনই হোক পেসারদের দায়িত্ব নিয়েই খেলতে হবে। যদি স্পিন সহায়ক হয়, তাহলে চেষ্টা করতে হবে স্পিনারদের সাহায্য করে। নতুন বলে উইকেট এনে দিতে পারলে স্পিনারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। আর যদি পেস সহায়ক উইকেট হয় তাহলে আরও দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করতে হবে। যে উইকেটই হোক পেসারদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের পেস বোলিং অনেক শক্তিশালী। যে-ই খেলুক, তাদের সামর্থ্য রয়েছে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করার।’
"