ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৯ মার্চ, ২০২০

সোলানোকেও ধরে নিয়ে গেল পুলিশ

চীনে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। মরণঘাতী এ ভাইরাসটির প্রকোপ ঠেকাতে দেশে দেশে লকডাউন ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের পদক্ষেপ না মানায় অনেকেই শাস্তির মুখে পড়ছেন। তবে মনে হয় এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটিতে লকডাউন মানতে এতটাই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে যে, ১৮ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা এড়াতে পারেননি দেশটির অন্যতম সেরা ফুটবলার নলবার্তো সোলানো।

পেরুর ইতিহাসের সর্বসেরা এই তারকা নিউক্যাসেল ইউনাইটেড, অ্যাস্টন ভিলা, ওয়েস্টহাম ইউনাইটেড, লেস্টার সিটি ও হাল সিটির মতো ক্লাবে খেলেছেন। এছাড়া বোকা জুনিয়র্সে কিংবদন্তি ম্যারাডোনার সতীর্থও ছিলেন।

পেরুর টেলিভিশন চ্যানেল আরপিপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে ৪৫ বছর বয়সি সাবেক রাইট উইংব্যাক সোলানোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকেও রাখা হয়। পরে অবশ্য তিনি ছাড়া পান। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন গ্রেফতারের বিষয়টি।

অভিযোগ ওঠেছে, লকডাউন অমান্য করে সোলানো পার্টিতে অংশ নিয়েছেন। তবে সোলানোর দাবি, পার্টি নয়, নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বাড়িতে গান বাজানোর শব্দ শুনে স্থানীয়রাই নাকি গণমাধ্যমকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে যা করার তাই করে।

ছাড়া পাওয়ার পর স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেরু জাতীয় দলের সহকারী ম্যানেজাররে দায়িত্বে থাকা সোলানো নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চান। বলেন, ‘আমি যা করেছেন ঠিক হয়নি। এ সময় সবার স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া উচিত। তা না হলে আমরা কেউ বাঁচতে পারব না।’ ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যমতে, পেরুতে এ পর্যন্ত ৬৩৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১১ জন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close