ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

গোলাপি চ্যালেঞ্জ মুমিনুল-কোহলির

তিন দিনের আগেই শেষ ইন্দোর টেস্ট। যে দুই দিন আরো খেলা হওয়ার কথা ছিল, সময়টা এখন গোলাপি বলের পেছনে ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। ইডেনের পথে না ছুটে দুই দল ইন্দোরকেই কাজে লাগাচ্ছে গোলাপি বলের দিবা-রাত্রির চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হতে। বাংলাদেশ-ভারত, দুই দলের কাছেই গোলাপি বলের অভিজ্ঞতা শূন্যের ঘরে। ভারতের হয়ে কেবল চেতেশ্বর পুজারা ও ঋদ্ধিমান সাহা ঘরোয়া ক্রিকেটে দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছেন। এ বল ম্যাচে কেমন আচরণ করে, কতটা সুইং মেলে, সেটা একপ্রকার অজানাই সবার।

গোলাপি বলের রহস্য জানতে ইন্দোরেই নেমে পড়ছে ভারত। ঐচ্ছিক হলেও প্রায় সবাই কম-বেশি অনুশীলন নিয়ে ডুবে থাকছেন। কৃত্রিম আলোর নিচে অধিনায়ক বিরাট কোহলির চেষ্টা নতুন চ্যালেঞ্জ জয়ের। ‘গোলাপি বল ব্যাটসম্যানদের কাছে হবে বড় পরীক্ষা। পেসাররাও পুরোনো বলে সুইং পাবে না। কারণ, গোলাপি বল পুরোনো হলে রিভার্স বেশি করে না। সে ক্ষেত্রে বোলাররা কী রকম মানিয়ে নেয় সেটা একন দেখার বিষয়।’ ইনিংস ও ১৩০ রানের ব্যবধানে সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের পর সমালোচনা হচ্ছে বাংলাদেশকে ঘিরে। পরাজয় ভুলে এবার সফরকারীদের সামনে ইডেনে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ। সেদিকে দ্রুত মনোযোগ ফেরাতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক।

‘আমার কাছে মনে হয় কৃত্রিম আলোর নিচে যতটুকু প্রস্তুতি নেওয়া যায় অতটুকুই ভালো। তবে আমরা যে সুইংয়ে খেলেছি, এর চেয়ে বেশি সুইং মনে হয় না হবে। অনেক বেশি সুইংয়ে ভালো প্রস্তুতি হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়। হয়তো একটু চ্যালেঞ্জ থাকবে, চ্যালেঞ্জটা একটু ভালোভাবে নেওয়া উচিত। ইতিবাচকভাবে নিতে হবে।’ পাঁচ দিনের টেস্ট তিন দিন হারায় বাড়তি দুই দিন পাওয়া গেছে। সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছে টাইগারাও। ভারতের মতো গতকাল মমিনুলরাও হলকার স্টেডিয়ামে গোলাপি বলে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে মাঠে নেমেছিল। ভারতের টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানরা তিনটি সেশন করেছেন গোলাপি বলে, বাংলাদেশ দলের অনেকের হাতে হয়তো প্রথমবারের মতো পৌঁছে যাবে গোলাপি বল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close