ক্রীড়া ডেস্ক

  ১০ মে, ২০১৯

লুকাস মউরা হ্যাটট্রিক

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে টটেনহাম

অঘটন বললে ভুল বলা হবে। বরং বলা ভালো যে, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফুটবলবিশ্ব দুটি অন্যতম বড় চমৎকারের সাক্ষী থাকল। প্রথমে লিভারপুলের কাছে বার্সেলোনার অপ্রত্যাশিত হার এবং পরে লুকাস মউরার একক প্রচেষ্টায় আয়াক্সের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় জয়ে টটেনহামের ইতিহাস সৃষ্টি।

বার্সেলোনার বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ০-৩ গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল শেষমেশ ফিরতি লেগে ৪-০ গোলে জয় তুলে নেয়। এটা অস্বাভাবিক না হলেও যেমন স্বাভাবিক বুদ্ধিতে বোধগম্য হওয়া মুশকিল। তবে বুঝে ওঠা আরো কঠিন চ্যাম্পিয়নস লিগের অপর সেমিফাইনালের গতিবিধি।

টুর্নামেন্টে জায়ান্ট কিলার হিসেবে খ্যাতি পাওয়া আয়াক্স টটেনহামের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়েছিল। জুভেন্টাস ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো চ্যাম্পিয়ন দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দেওয়া আয়াক্স ঘরের মাঠে টটেনহামকে আটকে দেবে, এমনটাই ধরে নিয়েছিল ফুটবলবিশ্ব। ফিরতি লেগের প্রথমার্ধেই আয়াক্স ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ম্যাচে থেকে হটস্পারের বিদায় কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলে মনে হচ্ছিল।

তবে চিত্রনাট্যে যে এমন চমকপ্রদ মোড় রয়েছে, তা আন্দার করতে পারেনি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে টটেনহামের দুরন্ত ফুটবলে দিশেহারা আয়াক্স এমন অসহায় আত্মসমর্পণ করবে, তা ভাবা যায়নি। বরং বলা ভালো লুকাস মউরার একক আগ্রাসনে খেই হারিয়ে আয়াক্স শেষমেশ হার মানে ২-৩ গোলে। প্রবল চাপের মুখে এমন বড় মঞ্চে হ্যাটট্রিক করে টটেনহামকে অবিস্মরণীয় রাত উপহার দেন লুকাস মউরা।

গত দুই দশকে টটেনহামই প্রথম দল, যারা দুই গোল পিছিয়ে থেকেও শেষমেশ চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল ম্যাচ জিতে যায়। শেষবার এমনটা করে দেখাতে পেরেছিল আর এক প্রিমিয়র লিগ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও তারা ১৯৯৯ সালে জুভেন্টাসকে হারিয়েছিল। টটেনহামের এই ম্যাচে জয়ের অর্থ দুই লেগ মিলিয়ে সেমিফাইনালের স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৩-৩। আয়াক্সের একটি অ্যাওয়ে গোলের তুলনায় টটেনহামের তিনটি অ্যাওয়ে গোল এক্ষেত্রে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। অ্যাওয়ে গোলের ভিত্তিতেই আয়াক্সকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে টটেনহাম। ফাইনালে তারা মাঠে নামবে প্রিমিয়র লিগের খেতাবের দৌড়ে থাকা লিভারপুলের বিরুদ্ধে।

জাহান ক্রয়েফ এরিনায় ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায় লাস শোনের পাস থেকে গোল করে আয়াক্সকে এগিয়ে দেন ম্যাথিস ডি’লাইট। ৩৫ মিনিটে ডুসান তাদিচের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাকিম জিয়েচ। লুকাস মউরা ৫৫ মিনিটে ডেলে আলি ও ৫৯ মিনিটে বেল্টম্যানের পাস থেকে গোল করে টটেনহামকে সমতায় ফেরান। ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে (৯০+৬ মিনিট) ডেলে আলির পাস থেকেই আয়াক্সের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন লুকাস মউরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close