ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত তামিম ইকবাল

লম্বা ব্যাটিং সেশন তো ছিলই। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের সঙ্গেও ছিল আলাদা সেশন। তাতে মধ্য বৈশাখের প্রচণ্ড গরমে ঘেমে একাকার তামিম ইকবাল। মিরপুরে অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন তিনি। প্রথমেই উঠল আবহাওয়ার প্রসঙ্গ। ইংল্যান্ডে যা থাকবে এখানের চেয়ে ভিন্ন। তামিমের অবশ্য বিশ্বাস, এখানে ঝরানো ঘামই প্রস্তুত করে তুলছে ইংল্যান্ডে ভালো করতে।

বিশ্বকাপের সময় ইংল্যান্ডেও থাকবে গ্রীষ্মকাল। তবে সেখানে এই ঋতুতেও থাকে খানিকটা ঠাণ্ডা। আর আবহাওয়া বদলে যায় যখন-তখন। যদি বৃষ্টি হয়, বাতাস থাকে ভেজা, তাহলে ঠাণ্ডার তীব্রতা বেড়ে যায় বেশ। বিশ্বকাপে সেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ।

কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার কথা জানালেন তামিম, ‘পুরোই ভিন্ন আবহাওয়া হবে সম্ভবত (ইংল্যান্ডে)। তবে আমরা এখানে যে কঠোর পরিশ্রম করছি, এই গরমে রানিং করা, ব্যাটিং-ফিল্ডিং, জিম করাÑ এসব কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং। এই যে আমরা এখানে কষ্ট করে নিচ্ছি, ওখানকার আবহাওয়ায় যাওয়ার পর আমার মনে হয়, অন্তত শারীরিক ফিটনেসের দিক থেকে এটা সাহায্য করবে।’

নিজের মতো করে নিবিড়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেননি তামিম। এ সময়টায় মূলত ফিটনেস নিয়ে কাজ করার কথা জানালেন তিনি, ‘আমি বেশ সন্তুষ্ট (নিজের প্রস্তুতিতে)। আমার মূলত যে লক্ষ্য ছিল, ব্যাটিংয়ের চেয়েও শারীরিক ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করা। যে কারণে আমি ঢাকা লিগ মিস করেছি, আমার মনে হয় সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।’

নিজের প্রস্তুতি নিয়ে তামিম বরাবরই খুঁতখুঁতে। প্রতিটি সিরিজের আগে সেই সিরিজের চ্যালেঞ্জ, পারিপার্শ্বিকতা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেন। বিশ্বকাপের আগেও নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন সেভাবেই। আত্মবিশ্বাসের সুরে বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান আরো বলেন, ‘ওখানকার কন্ডিশনে আমার কাজে লাগতে পারে, এমন সবকিছু নিয়েই আমি কাজ করছি। চেষ্টা করছি। আমি সব সময় বলি, প্রস্তুতিটা পুরো আমার হাতে। এটি নিয়ে আমি যা ইচ্ছা করতে পারি। কষ্ট করতে পারি, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি। মাঠে গিয়ে কী হবে না হবে, সেটি সব সময় আমার হাতে থাকে না। তবে ট্রেনিংয়ের দিক থেকে আমি সবই চেষ্টা করছি।’

বিশ্বকাপে উদ্বোধনী জুটিতে তামিমের সম্ভাব্য সঙ্গীর লড়াইয়ে থাকবেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। গত মঙ্গলবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন সৌম্য। সেঞ্চুরি করেছিলেন আগের ম্যাচেও। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সিরিজে তামিমের সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবেন সৌম্যই।

তামিম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সৌম্যের কীর্তি নিয়ে, ‘এটা অসাধারণ অর্জন, বাংলাদেশের প্রথম কেউ ২০০ করেছে। যদিও আমরা সামনে খেলব ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। তবু রান করাটা সব সময়ই ইতিবাচক। এটা আত্মবিশ্বাস জোগায়। কোথায় রান করেছে সে, এটির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রান করেছে।’

আয়ারল্যান্ডে খেলতে পারা মানেই বিশ্বকাপে একাদশে থাকার নিশ্চয়তা নেই। সৌম্য বা লিটন, আগে সুযোগ যারই হোক, খারাপ করলে অন্য জনের সুযোগ মিলবে। তামিম তাই তাকিয়ে আছেন দুজনের দিকেই। দুজনই দারুণ প্রতিভাবান, নিজেদের দিনে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন যেকোনো বোলিং আক্রমণ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক হতে পারেননি কেউই।

অন্যরা সফল হতে না পারার আঁচ লাগছে তামিমেরও। তিনি পাচ্ছেন না উদ্বোধনী জুটিতে নিয়মিত একজন সঙ্গী। তার মতে, লিটন ও সৌম্যর সময় হয়েছে দারুণ কিছু করার।

দুই তরুণের প্রশংসা করে তামিম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, লিটন ও সৌম্যর সামর্থ্য আছে। যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, এখনই ওদের সময়, পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার যে তারা কতটা ভালো।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close