ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৮ এপ্রিল, ২০১৯

সুপার সিক্সে দোলেশ্বর, আশা বাঁচিয়ে রাখল শেখ জামাল

আবাহনীকে হারিয়ে শীর্ষে রূপগঞ্জ

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেরা দুদলের লড়াই কিন্তু‘ মিরপুরে উত্তাপ ছিটেফোঁটাও ছিল না। একপেশে ম্যাচে মোসাদ্দেক-মাশরাফিদের আবাহনীকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দশ ম্যাচে নয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে নাঈম-মুমিনুলরা।

আবাহনী ও রূপগঞ্জ ছুটছিল সমানতালে। নয় ম্যাচে আট জয়ে দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল ১৬। এগিয়ে যাওয়ার দ্বৈরথে রূপগঞ্জের কাছে পাত্তাই পায়নি জাতীয় দলের একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার নিয়ে গড়া আকাশী-নীল শিবির।

কাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ১২৩ রানের সহজ লক্ষ্যে অনায়াসেই পৌঁছায় গত আসরের রানার্সআপরা। ২৬ দশমিক ৫ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় চার উইকেট হারিয়ে।

রূপগঞ্জ ওপেনার মেহেদী মারুফ করেন ৫৯ রান। নাঈম শেখ ২২, মুমিনুল হক ১৭ ও শাহরিয়ার নাফীস অপরাজিত থেকে করেন ১২ রান।

ওপেনিং জুটিতে আসে ৬২ রান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কাভারে নাঈম ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে জুটি। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। আর ২ রান যোগ হতেই নাজমুল ইসলাম অপুর বলে বোল্ড হন মেহেদী মারুফ।

জয় থেকে যখন ১২ রান দূরে রূপগঞ্জ, তখন সাব্বির রহমানের বলে বোল্ড হন জাকের আলী অনিক (২)। অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ৩ ও নাফীস দুই অঙ্ক ছুঁয়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

শুভাশীষ রায় ও মোহাম্মদ শহিদের পেস তোপে মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনী। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৩৮। শেষ দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা ১০ বলে ২ ছক্কায় করেন ১৫ রান। সৌম্য সরকারের ব্যাটে আসে ১৪ রান। বাকি কেউই স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্ক।

দারুণ বোলিং করেছেন রূপগঞ্জের পেসার শুভাশীষ। সকালে আবাহনীর প্রথম তিন উইকেট তুলে নেন এ পেসার। ২১ রানের মধ্যে জহুরুল ইসলাম অমি (০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৬), সৌম্যকে হারিয়ে বিপর্যয়ের শুরু আবাহনীর।

ভারতীয় প্রিয়াঙ্ক (১) ও সাব্বিরকে (০) দ্রুতই সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আরেক পেসার শহীদ। ২৯ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। পরে মোসাদ্দেক ও মিঠুনের প্রতিরোধে দলীয় শতক পার করে তারা।

বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন রিশি ধাওয়ান ও মুক্তার।

দিনের অন্য ম্যাচে বিকেএসপিরকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সুপার লিগের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বিকেএসপির দেওয়া ১৬২ রানের সহজ লক্ষ্য ৩৫ দশমিক ২ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।

১০ ম্যাচে শেখ জামালের পয়েন্ট ১০। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আবাহনী। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারলে সেরা ছয়ের সুপার লিগের পথে এগিয়ে থাকবে তারা। পয়েন্ট টেবিলে তাদের বর্তমান অবস্থান পাঁচে।

কাল বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামালের স্পিনাররা চেপে ধরে স্থানীয় দলটির ব্যাটসম্যানদের। ফলে ৪২ দশমিক ১ ওভারে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

ইলিয়াস সানি ও নাসির হোসেন নেন তিনটি করে উইকেট। তাইজুল ইসলাম ও এনামুল হক জুনিয়র নেন দুটি করে উইকেট। বিকেএসপির অধিনায়ক আকবর আলী করেন সর্বোচ্চ ৪৩ রান। এ ছাড়া আমিনুল ইসলাম করেন ২৯ রান।

সহজ লক্ষ্য তারায় বেগ পেতে হয়নি শেখ জামালের। অনুতাপ মজুমদার ৪৩, ইলিয়াস সানি ৩২, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ২২ ও নাসির হোসেন করেন ২০ রান। সুমন খান নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান, আবদুল কাইয়ুম ও আমিনুল ইসলাম। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন সানি।

দিনের তৃতীয় ম্যাচে দুদলের দুই রকম লড়াই। এক দলের চেষ্টা অবনমন থেকে নিজেদের বাঁচানোর, আরেক দলের আগেভাগে সুপার সিক্সে জায়গা পাকাপোক্ত করার। এই ম্যাচে যথারীতি জয় পেয়েছেন প্রাইম দোলেশ্বরের। উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে আরেকধাপ পেছনে ঠেলে নিজেরা পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে দোলেশ্বর।

কাল ফতুল্লায় সাদ নাসিমের বোলিংয়ে ১৬০ রানে অলআউট হয়ে যায় উত্তরা। জবাবে ১১ ওভার ৫ বল হাতে রেখে দুই ফিফটিতে সেই রান টপকে গেছে দোলেশ্বর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close