ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্যাটিংয়ে এনামুল বোলিংয়ে রাজ্জাক

জাতীয় দল থেকে ছিটকে গেছেন অনেকদিন হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটই জাতীয় দলে ফেরার উপযুক্ত মঞ্চ এনামুল হক বিজয়ের জন্য। ডানহাতি ওপেনার লক্ষ্যেই আছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন এনামুল। সদ্য সমাপ্ত প্রতিযোগিতার সেরা বোলার যিনি সেই আবদুর রাজ্জাকও বহুদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আছেন নির্বাচকদের কাছে। কিন্তু ফুরিয়ে যাননি তিনি। সেটা এবারের বিসিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে প্রমাণ দিলেন বাঁ-হাতি ঘূর্ণি জাদুকর।

এনসিএলের সেরা পাঁচে ছিলেন নাঈম ইসলাম এবং রনি তালুকদার। বিসিএলেও জায়গাটা ধরে রেকেছেন তারা। এ দুজনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক। অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে উজ্জ্বল মেহেদী হাসান বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও আছেন সেরা পাঁচে। এবারের আসরে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬০০-এর বেশি রান করেন দক্ষিণাঞ্চলের ওপেনার এনামুল। তার ৬৫৮ রানের ২০০ আসে ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে। এবারের আসরে নিজের সেরা ১৮০ রান করেন সেই ম্যাচেই। ৬৫.৮০ গড়ে রান করা এনামুলের ব্যাট থেকে আসে দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরি।

লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাঈম ৪৪৪ রান করে এনসিএলে ছিলেন চার নম্বরে। ৫২২ রান করে বিসিএলে দুই নম্বরে আছেন উত্তরাঞ্চলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৫২.২০ গড়ে রান করা নাঈমের ব্যাট থেকে আসে দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি। তার সেরা ১৩৭। জুনায়েদ আছেন তালিকার ৩ নম্বরে। ৫০ গড়ে ৫০০ রান করতে উত্তরাঞ্চলের বাঁ-হাতি ওপেনার একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি করেছেন। তার ইনিংস সেরা ১১২।

এনসিএলে ৪২৬ রান করে ৫ নম্বরে থাকা রনি এগিয়েছেন এক ধাপ। বিসিএলে ৪৬ গড়ে ৪৬০ রান করে আছেন চার নম্বরে। পূর্বাঞ্চলের এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে একটি সেঞ্চুরি ও ও তিনটি ফিফটি। দক্ষিণাঞ্চলের শিরোপা জয়ে ব্যাট-বলে দারুণ অবদান রাখা মেহেদী আছেন ৫ নম্বরে। ২৩ উইকেট নিয়ে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন ৩ নম্বরে। সেরা পাঁচে থাকা ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল মেহেদীরই নেই কোনো সেঞ্চুরি। তার মোট রান ৪৫৯ রান। ইনিংস সেরা ৮৬ রান। পাঁচ ইনিংসে অপরাজিত থাকা মেহেদীর ব্যাটিং গড় ৯১.৮০। বিসিএলের এবারের আসরে ৪০০-এর বেশি রান আছে আরো চারজনেরÑ মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, ইয়াসির আলি এবং আবদুল মজিদের।

বিসিএলের তৃতীয় আসরে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছিলেন রাজ্জাক। পরের আসরে ৩৮ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন চূড়ায়। সেরার আসনে ছিলেন না পঞ্চম আসরে। গতবার ৪৩ আবার শীর্ষে ছিলেন রাজ্জাক। এবার ২৪.৮৮ গড়ে নিলেন ৩৪ উইকেট। জাতীয় দলে উপেক্ষিত রাজ্জাক ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখিয়ে চলেছেন নিজের সামর্থ্য। এবারের বিসিএলে চারবার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, একবার ১০ উইকেট। ইনিংস সেরা ৭/৬৯। ১৪৪ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমে বিসিএলের সেরা বোলিং ফিগার তারই।

গত এনসিএলে ২০ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা সানজামুল বিসিএলে নিলেন ২৯ উইকেট। তার ইনিংস সেরা ৬/১০৩। উত্তরাঞ্চলের বাঁ-হাতি এই স্পিনার পাঁচ উইকেট নেন চারবার। দুই অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনারের পেছনে থাকা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ২৯.৩০ গড়ে নেন ২৩ উইকেট। ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে সেরা পাঁচে জায়গা পেলেন তিনি। মেহেদীর ইনিংস সেরা ৫/৭২। ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম পাঁচ উইকেট।

বোলিংয়ে তিনে থাকা মেহেদী ৯১.৮০ গড়ে ৪৫৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন পাঁচ নম্বরে। একমাত্র পেসার হিসেবে এবারের আসরে ১০ উইকেট নেওয়া ইবাদত হোসেন আছেন চার নম্বরে। ২৫.৯৫ গড়ে ২১ উইকেট নেন উত্তরাঞ্চলের এই পেসার। তার ইনিংস সেরা ৬/৫১, ম্যাচ সেরা ১০/১৩৯। পাঁচ নম্বরে আছেন টুর্নামেন্টের রানার্সআপ পূর্বাঞ্চলের আবু জায়েদ চৌধুরী। ২৫.০৫ গড়ে এই পেসার নেন ২০ উইকেট। জাতীয় দলে জায়গা হারানো এই তরুণের ইনিংস সেরা ৬/৭৪।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close