ক্রীড়া প্রতিবেদক
হাবিবুলের চোখে সৈকত-রাব্বি
কয়েক মাস ধরেই দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুই দিকেই একই দশা তার। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের দলে থাকলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। সেটার পরিণতিটা ভালো হলো না মোসাদ্দেকের জন্য। নড়বড়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাকে আরেকটি ধাক্কা খেতে হলো। তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান বাদ পড়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দল থেকে। অতীতেও তার বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কবার। তবে এবারের বাদ পড়া স্রেফ ফর্ম না থাকার কারণেই, জানালেন অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
এবারের এশিয়া কাপে তিনটি ম্যাচে তার রান সংখ্যা যথাক্রমে ১, ১২ এবং ২৬। এই বাজে ফর্মই মোসাদ্দেককে ছিটকে দিয়েছে দল থেকে। কাল নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাবিবুল বলেছেন, ‘মোসাদ্দেকের ফর্ম নিয়ে আমরা খুব একটা সন্তুষ্ট নই। যেখানে সে ব্যাট করছে, সাত নম্বরেÑ সেখানে কার্যকর ব্যাটিং করতে পারছে না। বলতে পারেন, তাকে ব্রেক দেওয়া হচ্ছে। আশা করি সে ঘরোয়া ক্রিকেটে রানে ফিরবে। সাম্প্রতিক সময়ে ওর ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না।’
মোসাদ্দেকের বাদ পড়া যেমন, তেমনি অনেকের কৌতুহল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ফেরা নিয়েও। দলে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক। এরপরও নেওয়া হয়েছে সাইফকে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে অবশ্য ইঙ্গিতটা এসেছিল আগেই, তাদের চাওয়া বোলিং প্রধান অলরাউন্ডার। হাবিবুলের ব্যাখ্যায়ও উঠে এলো সেটিই। তিনি বলেছেন, ‘আমরা একজন বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজে ছিলাম। সৌম্য বা আরিফুল মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তাদের কাছ থেকে আমরা প্রথমে ব্যাটিং ও পরে বোলিং আশা করি। আমরা এমন একজনকে চাচ্ছি, যে কিনা ১০ ওভার বোলিং করতে পারবে ও দরকার হলে ব্যাটিং করবে। এজন্য আমরা সাইফউদ্দিনকে এই সিরিজে নিয়েছি।’
হাবিবুল আরো বলেছেন, ‘যখন আমরা বাইরে খেলতে যাব, তখন আমাদের ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিংয়ের দরকার বেশি লাগবে। আমাদের নিচের সারির ব্যাটিংটা একটু বেশি বড় হয়ে যায়। ৭ নম্বরের পরে আসলে আমাদের খুব একটা ব্যাটিং থাকে না। একজন বোলিং অলরাউন্ডার যদি আমরা সেট করতে পারি, তাহলে ভালো হবে।’
এবারের ঘোষিত দলে সবচেয়ে বড় চমক ৩০ বছর বয়সী ফজলে মাহমুদ রাব্বির দলে সুযোগ পাওয়াটা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের সিরিজে বাংলাদেশ দলে একমাত্র নতুন মুখ তিনিই। গত কিছুদিনে ঘরোয়া ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে তার পারফরম্যান্সে ডাক পাওয়াটা বিস্ময়রকর নয়। তবে বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে বলেই তার সুযোগ পাওয়া অবাক করেছে অনেককে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বয়সে প্রথমবার ডাক পাওয়া ভীষণ বিরল। কিন্তু বয়স নয়, ফিটেনস এবং পারফরম্যান্সের বিবেচনায় দলে ডাকা হয়েছে রাব্বিকে। কাল গণমাধ্যমকে হাবিবুল বলেছেন, ‘ক্যারিয়ার শুরুর জন্য বয়সটা হয়তো বেশি হয়ে গেছে। আমরা এ রকম খুব কম দেখি। তবে ওর ফিটনেস খুব ভালো। এখনকার বাস্তবতা বিবেচনায় খুব বেশিও নয় বয়স। সামনে অনেক সময় পড়ে আছে। আশা করি ও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।’
নিজের ক্রিকেটীয় জীবনে, পরে নির্বাচক হয়ে ফজলে রাব্বিকে অনেক দেখেছেন হাবিবুল। সেই পর্যবেক্ষণ থেকেই রাব্বির প্রতি হাবিবুলের মূল্যায়ন, ‘রাব্বি ভালো ফিল্ডার, সঙ্গে স্পিন বল করতে পারে। সব মিলিয়ে আমাদের জন্য একটা প্যাকেজ বলা চলে। ওর খেলা আগেও তো দেখেছি।’
"