ক্রীড়া ডেস্ক
দুর্দশা কাটছে না রিয়াল-বায়ার্নের
জয় পেতে যেন ভুলে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ জায়ান্টদের এমন দুঃসময় কবে এসেছিল, তা সত্যি গবেষণার দাবি রাখে। ১৯৮৫ সালের পর টানা চার ম্যাচে গোল দেখেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। গত দুই সপ্তাহের স্মৃতিটা স্মৃতি থেকে মুছে ফেললেই বাঁচে সার্জিও রামোস-টনি ক্রুসরা। সেভিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকেই দুর্দশার শুরু। ডার্বি ম্যাচে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র। তারপর চ্যাম্পিয়নস লিগে সিএসএসকে মস্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলের হার। আর পরশু রিয়াল একই ব্যবধানে হারল আলাভেসের বিপক্ষে।
আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফেরার পর টানা চার ম্যাচে গোলের দেখা পায়নি গ্যারেথ বেল, করিম বেনজেমাদের নিয়ে গড়া রিয়ালের আক্রমণভাগ। আর তাতে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অভাবটা। অথচ পরশু স্বাগতিক আলাভেসের মাঠে পুরো ম্যাচে ছড়ি ঘুরাল রিয়াল। কিন্তু নির্ধারিত ৯০ মিনিটের যোগ করা সময়ে গোল হজম করে বসে কোচ হুলেন লোপেতেগির শিষ্যরা। আলাভেসের গার্সিয়া সানচেজের গোলটি শোধের আর সময় ছিল না রিয়ালের। সেই ১৯৩১ সালের পর রিয়ালের বিপক্ষে জয় পেল আলাভেস।
এমন হারে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আলোচনা শুরু হয়ে যায় ডাগআউট থেকে লোপেতেগি অপসারণের। তবে লোপেতেগি পাশে পাচ্ছেন রামোসকে। রিয়াল অধিনায়ক সরাসরি জানিয়েছেন, ‘কোচের পরিবর্তন কখনোই ভালো না। এটা হতে পারে পাগলামি যেই বলুক না কেন, রিয়াল মাদ্রিদ মৃত, শেষ পর্যন্ত তারা সব সময় ভুল প্রমাণিত হয়।’
অপসারণের আওয়াজ উঠলেও চাকরি নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না লোপেতেগি। নিজের চাকরির প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একজন কোচ এ নিয়ে ভাবে না।’ এছাড়া ছন্দে ফেরারও আভাস দিয়েছেন তিনি, ‘আমরা এখন ভালো মুহূর্তে নেই। কিন্তু এটা অক্টোবর মাস। আমরা যত দ্রুত সম্ভব জয়ে ফিরতে চাই।’
আর কয়েক দিন পর দুই সপ্তাহের জন্য পুনরায় আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পর রিয়াল প্রথম ম্যাচ খেলবে লেভান্তের বিপক্ষে। তবে অলহোয়াইটদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে ২৮ অক্টোবর। বার্সেলোনার বিপক্ষে যে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো! পরশু হারলেও লা লিগায় ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল। সমান পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে আছে বার্সা।
অন্যদিকে জার্মান বুন্দেসলিগায় ধুঁকছে বায়ার্ন মিউনিখ। রিয়ালের মতো জার্মান জায়ান্টরাও জয় পায়নি টানা চার ম্যাচে। পরশু তো ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্চ অ্যারেনায় মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে নিকো কোভাচের দল। আরো আশ্চর্যের খবর হচ্ছে, এই হারে পয়েন্ট টেবিলে ৫ম স্থানে নেমে গেছে টানা ছয়টি বুন্দেসলিগা জয়ীরা। ৭ ম্যাচে বাভারিয়ানদের পয়েন্ট ১৩। সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
"