ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৩ জুলাই, ২০১৮

বাবর-ইমামকে ছাপিয়ে ফখর

সময়টা দারুণ কাটছে ফখর জামানে। ফর্ম আর আত্মবিশ্বাসে বৃহস্পতির তুঙ্গে আছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটের রান ¯্রােত যেন থামছেই না। জিম্বাবুয়ে সফরে তো অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে যাচ্ছেন এই ওপেনার। আর তাতেই তিনি টপকে গেলেন কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসকে।

অবশ্য ক্যারিবীয় লিজেন্ডকে এর আগে চারজন স্পর্শ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৮০ সালে তার গড়া রেকর্ডটা যেন কেউ-ই ভাঙতে পারছিলেন না। অবশেষে রিচার্ডসকে ছাড়িয়ে গেলেন ফখর। নতুন করে রেকর্ডবুকে নাম লেখালেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। কাল ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গতিতে ১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ফখর। বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ৮৫ রানের ইনিংস খেলার পথে পাকিস্তানি ওপেনার করেছেন আরো কিছু রেকর্ড।

১৮ ইনিংসেই হাজার রানের দেখা পেলেন ফখর। রিচার্ডসের লেগেছিল ২১ ইনিংস। ২০০৬ সালে রিচার্ডসের রেকর্ড স্পর্শ করেন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসেন। ২০১১ সালে এই দুইজনের পাশে বসেন আরেক ইংলিশ জোনাথন ট্রট। ২০১৪ সালে রেকর্ডটি স্পর্শ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। সবশেষ গত বছরের জানুয়ারিতে রিচার্ডসদের পাশে বসেন ফখরের স্বদেশি বাবর আজম। ফখর ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে।

আগের ম্যাচের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরিতে হাজারের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফখর। ১ হাজার ওয়ানডে রান স্পর্শ করতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে কাল তার প্রয়োজন ছিল ২০ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার পথটুকু পাড়ি দেন অনায়াসেই। খেলেছেন ৮৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস।

রেকর্ডময় সিরিজে ফখর গড়েছেন আরো এক গাদা রেকর্ড। ৫ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও এখন তার। সিরিজের আগের চার ম্যাচে ফখরের রান ছিল ৬০, অপরাজিত ১১৭, অপরাজিত ৪৩ ও অপরাজিত ২১০। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে গড়া হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৪৬৭ রানের রেকর্ড ছাড়াতে এদিন ফখরের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। ফখর সেটি ছাড়িয়ে গেছেন, প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পেরিয়েছেন ৫ ম্যাচের সিরিজে ৫০০ রান। সিরিজ শেষ করেছেন ৫১৫ রান নিয়ে।

প্রথম ওয়ানডেতে ৬০ রানে আউট হওয়ার পর ফখর শেষ ম্যাচে লিয়াম রোচের বলে আউট হয়ছেন ৮৫ রানে। মাঝের সময়টায় নতুন করে লিখিয়েছেন ওয়ানডেতে দুই আউটের মাঝে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। ৪০৫ রানের আগের রেকর্ড ছিল আরেক পাকিস্তানি মোহাম্মদ ইউসুফের। ফখর করেছেন ৪৫৫। ইউসুফের আরেকটি রেকর্ড অবশ্য ভাঙতে পারেনি ফখর। ৫ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ের রেকর্ড ইউসুফের ৪০৫। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড় এই সিরিজে ফখরের ২৫৭.৫০।

ইমাম-উল-হকের সঙ্গে মিলে এদিন আরো একটি শত রানের জুটি গড়ছেন ফখর। দুইজনে মিলে তুলেছেন ১৬৮ রান। একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে উদ্বোধনী জুটিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এখন এই জুটির। আগের চার ম্যাচে জুটি ছিল ১১৩, ১১৯, ০ ও ৩০৪। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি এই সিরিজে তুলেছে ৭০৪ রান। আগের রেকর্ডও ছিল এক পাকিস্তানি জুটির। ২০০৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইয়াসির হামিদ ও ইমরান ফারহাদ জুটি তুলেছিল ৫৯০ রান।

ফখরের ইতিহাস গড়া দিনে পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। কিন্তু ফখরের রেকর্ড গড়ার দিনে অনেকটা আড়ালে থাকতে হয়েছে ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম। কাল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের দেখা পেয়েছেন ইমাম। ১০৫ বলে ১১০ রান করেছেন তিনি। বাবর ৭৬ বলে ১০৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এই তিন ব্যাটসম্যানের সুবাদে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান করেছে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেটে ২৩৩ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist