‘ম্যারাডোনার মতো সহায়তা পান না মেসি’
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তিদের তালিকায় ক্লদিও ক্যানিগিয়ার নামটা ওপরের দিকেই থাকবে। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে নিজের অভিজ্ঞতা, আর্জেন্টিনার একাল ও সেকাল, রাশিয়া বিশ্বকাপ তথা ফুটবলের সার্বিক বিষয় নিয়ে ফিফাডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন ক্যানিগিয়া। তার বলা কথাগুলোর চৌম্বক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলোÑ
* কদিন পরই আরেকটি বিশ্বকাপ শুরু হবে। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
ক্লদিও ক্যানিগিয়া : অন্যান্য টুর্নামেন্ট থেকে এটা অসাধারণ। বিশ্বকাপ নিয়ে আগেও অধীর আগ্রহে থাকতাম, এখনো আছি। এটার উত্তেজনায় অনেকে তো ঘুমাতেও পারে না (হাসি)। জাতীয় দলে খেলার আর ক্লাব টুর্নামেন্টে খেলাটা একেবারেই ভিন্ন।
* আপনার প্রথম টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হয়েছিল আর্জেন্টিনা। ওটাই আর্জেন্টিনার শেষ ফাইনাল ছিল। ১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটার কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ক্যানিগিয়া : আমাদের দলকে জেতানোর মতো কোনো খেলোয়াড় ছিল না। ম্যারাডোনা-বুরুচাগার মতো ফুটবলাররা ইনজুরিতে ছিলেন। পামপিদো পা ভেঙে বসে আছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের দলে সমস্যা আর সমস্যা। কিছু আনাড়ি খেলোয়াড় যাদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি। নবীন একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম আমরা। যেটা খুব ভয়ানক ছিল। যদিও ব্যাপারটা ছিল বিস্ময়কর। আমরা প্রায় টুর্নামেন্টটা জিতেই গিয়েছিল।
* ব্রাজিলের বিপক্ষে আপনার একটা গোল অবিস্মরণীয় হয়ে আছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কাছে। ওই গোলটা কীভাবে বর্ণনা করবেন?
ক্যানিগিয়া : এটা আসাধারণ গোল ছিল। আমার জন্য সুখের ও গর্বের। ব্রাজিলের ম্যাচটা ছিল অবিশ্বাস্য। কারণ মধ্য মাঠ থেকে পাঁচজন ব্রাজিলিয়ান আর মাত্র দুইজন আর্জেন্টাইন। গোলটা আসলে দেখার মতোই ছিল।
* আর্জেন্টিনা বর্তমান দলে নতুন কোনো ক্যানিগিয়া আছে?
ক্যানিগিয়া : না, কারণ এখানে অল্পসংখ্যক খেলোয়াড়। একজন ভালো ও দ্রুত উইঙ্গার প্রতিপক্ষের সমস্যার কারণ হয়। যেটা আমাদের বর্তমান দলে নেই।
* ‘মেসি ম্যারাডোনার মতো নয়’ এবং ‘মেসি তার সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন সহায়তা পান না যেটা ম্যারাডোনা পেয়েছেন।’ আপনি কোন কথাটার সঙ্গে একমত হবেন?
ক্যানিগিয়া : এটা ঠিক ম্যারাডোনা সতীর্থদের কাছ থেকে যে সহায়তা পেতেন সেটা পাচ্ছেন না মেসি। এটাই সত্যি কথা।
"