ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছন্দে ফিরতে চান সৌম্য
অভিষেকের পর মাঝে একটা কঠিন সময় পার করেছিলেন সৌম্য সরকার। দুঃসময়কে ধীরে ধীরে পেছনে ফেলছেন জাতীয় দলের বাঁ-হাতি ওপেনার। বাংলাদেশের সবশেষ তিন সিরিজের দুটিতে সিরিজে পেয়েছেন রানের দেখা। কিন্তু সবশেষ জাতীয় দলের হয়ে নিদাহাস ট্রফিতে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন সৌম্য। তবু তাকে আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজে রেখেছেন নির্বাচকরা। নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজেই দিতে চান সৌম্য। কাল জানালেন ছন্দে ফেরার চ্যালেঞ্জের কথা।
কোচ নিয়ে কথা বলতে এসে গ্যারি কারস্টেন হাতে গোনা যে কজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন, সৌম্য তাদের একজন। বর্তমান বাংলাদেশ দলে তার গুরুত্ব বা সম্ভাবনা কতটুকু, সেটি শুধু কারস্টেনের সঙ্গে আলোচনা দিয়ে মাপা যাবে না। সৌম্যকে কেন দরকার, এ প্রশ্নে কদিন আগে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা যত খেলোয়াড়কে নিয়ে চিন্তা করি, ওর কথাটা সবার আগে চলে আসে।’
প্রতিভাবান, স্টাইলিশ। উড়ন্ত সূচনা এনে দলকে দিয়ে বড় স্কোর গড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিতে পারেন। সৌম্য যখন ছন্দে থাকেন, মুগ্ধ নয়নে তার ব্যাটিং দেখতে হবে। সব ঠিকই আছে। কিন্তু ওই যে একটা রোগ! সৌম্যর রোগ বলতে ধারাবাহিকতার অভাব। ক্যারিয়ারের শুরুতে যতটা ধারাবাহিক ছিলেন, এখন সেটি কম। এক সিরিজে ভালো খেলেন তো পরের সিরিজে নি®প্রভ। নিদাহাস ট্রফির আগে চার ইনিংসে ৪৭, ৪৪, ৫১ ও ০ রান করা সৌম্য মার্চে প্রেমাদাসায় রান করতেই ভুলে গেলেন! নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ এত ভালো খেলল অথচ সৌম্যর ব্যাটে রান নেই!
সমস্যাটা কোথায়? কেন ধারাবাহিক হতে পারছেন না সৌম্য? কাল
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে যে ব্যাখ্যা দিলেন ২৫ বছর বয়সী ওপেনার, তাতে মনে হবে ধারাবাহিক না হওয়ার মধ্যেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন তিনি, ‘সবাই চায় ভালো করতে। কিন্তু প্রতিদিনই তো ভালো করা যায় না। প্রতিদিন ভালো করলে চাওয়া-পাওয়ার আগ্রহটা কমে যায়। যেহেতু খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এখান থেকে কতটা কঠোর পরিশ্রম করে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারি, ওটাই চিন্তা করছি। ভালো খেলারই চেষ্টা করি। যারা প্রশ্ন তোলেন, ভালো খেললে তারাই তখন উল্টোটা বলবেন।’
"