ক্রীড়া ডেস্ক
নির্বাচকদের সমালোচনায় ফারুক আহমেদ
বাংলাদেশ দলের এই বাজে সময়ের জন্য নির্বাচকদের ওপর দোষারোপ করলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। সাবেক নির্বাচকের মতে দলটা থিতু হতে পারছে না। নির্বাচকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই। মিনহাজুল আবেদীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে ফারুকের।
ভালো দল বানাতে নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকাটা খুবই জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশের সেরা সময়ে নির্বাচক হিসেবে কাজ করা ফারুক, ‘নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রথমেই ঠিক করতে হবে, কাকে নির্বাচক বানাবেন। তার যোগ্যতা কতটুকু আছে। আর সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কিনা। বোর্ড নির্বাচকদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা দিয়ে দেখতে পারে। যদি এর মধ্যে ভালো ফল না আসে তাহলে তো সেই নির্বাচক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সব ক্ষমতা বিসিবির আছে। আমি তো মনে করি এখনকার নির্বাচকদের ক্ষমতা খুবই কম। তারা স্বাধীনভাবে তো কাজ করতেই পারে না, তাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা হতে পারে।’
বোর্ড বর্তমান নির্বাচকদের জবাবদিহির বাইরে নিয়ে গেছে বলেই মনে করেন ফারুক, ‘আমাদের আবার আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া উচিত। আগে যেমন নির্বাচক কমিটি দিয়ে কাজ হতো, ঠিক তেমনই। কমিটি থাকলে জবাবদিহির ব্যাপার থাকে। এখন কোনো নির্বাচককে যদি দল নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন, সে কিন্তু বলতে পারবে না।’
প্রধান নির্বাচক হিসেবে সাফল্যের সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করেছেন অতীতে। বছর দেড়েক আগে ‘নির্বাচকদের কাজে হস্তক্ষেপ হচ্ছে’ অভিযোগ তুলেই দ্বিতীয় দফার প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। নিজের সিদ্ধান্তটা যে ঠিক ছিল, এখন সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছেন তিনি, ‘আমি জানতাম এমন কিছুই হবে। সে কারণে দেড় বছর আগে প্রধান নির্বাচকের পদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। দল যখন ভালো করে, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে না। দল যদি খারাপ করে, তখন সমস্যাগুলো সামনে চলে আসে। যদি নির্বাচক অনেক থাকে, তাহলে সমস্যা হবেই। তখন একজন বলবে, অমুককে নিলে ভালো হতো, আরেকজন বলবে, তাকে নাও। আসলে এমন পরিস্থিতিতে কে সিদ্ধান্তটা নিল, সেটা বোঝা যায় না। এখন আমরা দেখি, ম্যাচ শুরুর আগের দিন খেলোয়াড় ঢোকানো হচ্ছে। এটা নির্বাচকরা কতটুকু জানেন, আমরা জানি না। পত্রিকায় পড়েছি, আসলে তারা এসবের কিছুই নাকি জানেন না।’
"