ক্রীড়া ডেস্ক
পিএসজির বড় দুঃসংবাদ
আশার বাণী শুনিয়েছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) কোচ উনাই এমেরি। তার আশার গুড়ে বালি। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না প্রাণভোমরা নেইমারের। ফ্রেঞ্চ গণমাধ্যমের খবর গোড়ালির ইনজুরি বেশ কয়েকদিনের জন্য ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে ছিটকে দিয়েছে মাঠের বাইরে।
অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে নেইমার মাঠ ছেড়েছিলেন চোট নিয়ে। চোটের পর নেইমারের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটায় খুব সম্ভবত থাকতে পারছেন না বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই ফুটবলার। সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষার ফল পিএসজির কপালে দুশিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। তাকে নেইমারের বিকল্প হিসেবে ভাবতে হচ্ছে। নেইমারের পায়ের পাতার হাড় ভেঙেছে, গোড়ালিও নাকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজেভাবে।
রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হেরে গিয়েছিল পিএসজি। ৬ মার্চ ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটা তাই তাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে নেইমারের ওপরই ভরসা করে আছে গোটা দল। কিন্তু নেইমারের খেলাটাই এখন পুরোপুরি অনিশ্চিত।
চিকিৎসকেরা অবশ্য এখনো জানাননি নেইমারকে কত দিন মাঠের বাইরে থাকততে হবে। মঙ্গলবার আলট্রাসাউন্ড ও সিটি স্ক্যান করিয়ে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার কথা। নেইমারের ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যাপারে বিবৃতিতে জানিয়েছে এসব জানিয়েছে পিএসজি।
পায়ের পাতার হাড় ভাঙলে সেটি সারতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। অনেক সময় এটি সারতে লেগে যায় মাসও। নেইমারের সামনে উদাহরণ হিসেবে আছেন ব্রাজিল জাতীয় দলে তার সতীর্থ গ্যাব্রিয়েল জেসুস। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে একটি ম্যাচে পায়ের পাতার হাড় ভেঙেছিল জেসুসের। এরপর সুস্থ হতে তার সময় লাগে দুই মাস।
অতীতে ডেভিড বেকহাম ও ওয়েইন রুনিও পায়ের পাতার হাড় ভেঙে ছয় সপ্তাহ মতো সাইড লাইনে বসে ছিলেন। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠার আগেই বেকহামকে মাঠে ফেরানো হয়েছিলÑ এমন অভিযোগও আছে। ২০০৬ বিশ্বকাপের সময় একই ঘটনা ঘটে রুনির ক্ষেত্রেও। এ বছরই বিশ্বকাপ বলে ব্রাজিল সমর্থকরা নেইমারকে নিয়ে চিন্তিত হতে পারেন। যদিও নেইমারের আসলে এর অনেক আগেই ফিরে আসার কথা।
এদিকে, চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে নেইমার না থাকলে যার সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা, সেই রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান অবশ্য খুব করেই চান, ৬ মার্চ তাদের বিপক্ষে নেইমার খেলুন, ‘নেইমারের চোট নিয়ে আমি কখনোই আনন্দিত হতে পারি না। আশা করছি, সে দ্রæতই মাঠে ফিরবে এবং রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটি খেলবে। আমার প্রতিদ্ব›দ্বী দলের খেলোয়াড়েরা চোটে পড়–কÑএমনটা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।’
নেইমার না থাকলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটিতে পিএসজির স্বপ্নসারথি হবেন এডিনসন কাভানি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই দুজন প্রস্তুত তো! নেইমারের শূন্যতা পুষিয়ে নিতে এ দুজনকেই যে সবটুকু নিংড়ে দিতে হবে।
"