নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউএনওকে হয়রানি
সেই বিচারককে বদলির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের
ইউএনও তারিক সালমনকে হয়রানির ঘটনায় দুই জেলা প্রশাসককে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হোসাইনকে বদলি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ জানান, আইন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাবের চিঠি গতকাল মঙ্গলবার তাদের হাতে পৌঁছেছে।
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তার জামিন শুনানি মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে আইন মন্ত্রণালয়ের করা সুপারিশের সঙ্গে ইউএনওর ঘটনার কোনো সংশ্লিষ্টতার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বলেননি। ইউএনওর নিরাপত্তা দিতে না পারায় ইতোমধ্যে বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত সোমবার দুই ডিসিকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে গত সোমবার।
গাজী তারিক সালমন আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ছাপানো আমন্ত্রণপত্রে পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া এক শিশুর অআকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেন।
আমন্ত্রণপত্রটিতে ব্যবহৃত ছবিটি বঙ্গবন্ধুর ‘বিকৃত ছবি’Ñএমন অভিযোগ এনে ৭ জুন বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহ। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে তারিক সালমনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেন। গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে তারিক সালমনকে বরগুনা সদর উপজেলায় বদলি করা হয়। গত বুধবার ওই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি।
আদালত প্রথমে তা নামঞ্জুর করে ইউএনওকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর দুই ঘণ্টা পর তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। জানাজানি হলে বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ইউনওকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রোববার বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী হোসাইন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠান।
"