চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৩ জানুয়ারি, ২০১৯

টার্মিনালে আরো ইক্যুইপমেন্টে গতি বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে

চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাড়ছে পণ্য পরিবহন। দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রফতানি হ্যান্ডলিং করা হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। এদিকে এবার যুক্ত হচ্ছে পাশের দেশের পণ্য পরিবহনও। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, ২০০৭ সালে বন্দর দিয়ে ৯ লাখ ৫৮ হাজার ২০টি একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল পরবর্তীতে তা বাড়তে বাড়তে এখন ৩০ লাখে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত বছরের ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। একইসঙ্গে গত ২ ডিসেম্বর একদিনে ১১ হাজার ৪৬ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে চট্টগ্রাম বন্দর।

এ বিষয়ে চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম বলেন, বন্দরে অনেক ইকুইপমেন্ট যুক্ত হওয়ায় কাজের গতি বেড়েছে। তবে গতি আরো বাড়বে যদি বে টার্মিনালের কাজ শুরু হয়। বে টার্মিনাল মানেই একটি বন্দর। বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ২০ লাখ ২৪ হাজার ২০৭ একক, ২০১৬ সালে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ কনটেইনার, ২০১৭ সালে ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৭ কনটেইনার এবং গত বছর ২৯ লাখ ৩ হাজার ৯৯৬ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে এ বন্দর। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫ একক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। একদিনের ব্যবধানে ২ ডিসেম্বর একদিনে ১১ হাজার ৪৬ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে চট্টগ্রাম বন্দর।

শিপ হ্যান্ডলিং ও বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে টার্মিনাল নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে যাতে ইকুইপমেন্ট যুক্ত হয়ে যায়। তবেই এর সুফল মিলবে।’

বন্দরের সক্ষমতা ক্রমে বাড়ছে জানিয়ে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন ইয়ার্ড তৈরি, পুরনো ইয়ার্ড সম্প্রসারণ, কি-গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজন ও অটোমেশনের কারণে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে পারছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close