প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

খুলনা ও চট্টগ্রামে হত্যার দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন

খুলনায় এক কলেজছাত্রকে হত্যার দায়ে ১০ জনকে ও চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

খুলনা : খুলনায় এক কলেজছাত্রকে হত্যার দায়ে ১০ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরো একবছর কারাগারে থাকতে হবে। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জেলার তেরখাদা উপজেলার কুমিরডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়ার নবির হোসেন, তবিবুর রহমান, আকা মিয়া শেখ, খাঁজা মিয়া, বুলু মিয়া, অসিকার শেখ, চাঁন মিয়া শেখ, মনির শেখ, এহিয়া ও কামাল শেখ। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন। এ ছাড়া আসামি সুলতান আহমেদ ও আব্বাসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক মামলার নথির বরাতে বলেন, ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিরডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়ায় জোহরের নামাজের সময় শিশুরা মসজিদের বাইরে হট্টগোল করছিল। হট্টগোল থামাতে গেলে দ্বন্দ্ব বাধে। এর জেরে কলেজছাত্র শেখ বদরুদ্দোজাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বদরুদ্দোজা তেরখাদা বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। হত্যাকা-ে ঘটনায় তার ভাই শেখ আসাদুজ্জামান ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তেরখাদা থানার এসআই মিজানুর রহমান আদালতে সবার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

চট্টগ্রাম : ১৮ বছর আগে চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। দ-িত মো. আনোয়ার উল্লাহ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়নের কালাকুম গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির ছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা (পিপি) বিকে বিশ্বাস বলেন, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ৩০২ ধারায় আদালত একমাত্র আসামি আনোয়ারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- দিয়েছেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০০ সালের ২২ এপ্রিল রাতে নিজ ঘরে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাইলী বেগমের হাত-পা বেঁধে গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে খুন করেন আনোয়ার উল্লাহ। ঘটনার পরদিন ফটিকছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন লাইলীর বাবা কামাল উল্লাহ। ওই মামলায় ২০০১ সালের ২৭ জানুয়ারি আনোয়ার উল্লাহকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এতে উল্লেখ করা হয়, দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য অনুমতি দিতে আনোয়ার স্ত্রীকে চাপ দেন। সম্মত না হওয়ায় শ্বাসরোধে স্ত্রীকে খুন করেন তিনি। তবে বিষ খেয়ে লাইলীর মৃত্যু হয়েছেÑ এমনটি সাজানোর জন্য লাশের পাশে একটি বিষের বোতল রেখে দেন আনোয়ার। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে মৃত্যুর বিষয়টি উঠে আসে। ২০০১ সালের ৮ জুন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আসামির পক্ষে পাঁচজন আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দিলেও রাষ্ট্রপক্ষ তা মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close