আদালত প্রতিবেদক
ঋণ জালিয়াতি
জামিন পেলেন না ফারমার্স ব্যাংকের বাবুল চিশতী
নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে গিয়েও বিফল হলেন ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর আইনজীবীরা। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় তার জামিন প্রশ্নে এর আগে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, রুল শুনানি শেষে বিচারকরা বলেছেন, গ্র্যাভিটি অব দ্য অফেন্স (অপরাধের মাত্রা) বিবেচনা করে আদালত তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী বলেন, বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এবং অর্থ স্থানান্তরের ‘সুষ্পষ্ট অভিযোগ’ রয়েছে। আর এ মামলাটি খুবই সেনসেটিভ যেখানে একটি ব্যাংককে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই ধ্বংসের পেছনে চিশতীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ সুষ্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন না। আদালত আমাদের যুক্তি বিবেচনায় নিয়েছেন বলেই জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন।
গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বাবুল চিশতীকে গ্রেফতার করে দুদক। এর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে বাবুল চিশতী ব্যাংকটির গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা ও উত্তোলন করেন।
এরপর বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন।
"