ক্রীড়া ডেস্ক
জয়ে শুরু সুইডেনের
জøাতান ইব্রাহিমোভিচ নেই সুইডেনের রাশিয়া যাত্রায়। মার্কাস বার্গই এই অভিযানে সুইডিশদের স্বপ্নসারথি। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে রাশিয়া বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট পেয়েছে ইউরোপের প্রতিনিধিদলটি। কিন্তু রাশিয়ার মঞ্চে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই বার্গ থাকলেন বোতলবন্দি।
পুরো ম্যাচে সুইডেনের আক্রমণগুলো রুখে দিয়েছেন চো হিয়ুন-উ। এর সঙ্গে সুইডিশ স্ট্রাইকার বার্গকেও হতাশ করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে কোরিয়ান এই গোলরক্ষকের দিকেই বারবার চেয়েছেন সুইডিশ প্রাণভোমরা। কিন্তু দারুণ একটা ম্যাচ খেলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি হিয়ুন-উ।
৬৫ মিনিটে রিভিউর কল্যাণে পাওয়া পেনাল্টিটা কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি আন্দ্রেস গ্রাঙ্কাভিস্ত। কে জানে এ শট যদি বার্গ নিতে আসতেন তাহলে হয়তো সেটাও সেভ করে ফেলতেন হিয়ুন-উ! সুইডেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শুরু হলো দক্ষিণ কোরিয়ার।
এমন ফলেও অবশ্য আপত্তি করতে পারবেন না কোচ তা-ইয়ং। পুরো ম্যাচে তার খেলোয়াড়রা গোলপোস্টে একটা শটও রাখতে পারেননি। গোল করা তো পরের ব্যাপার! ওদিকে সুইডেন প্রথমার্ধেই অন্তত তিনটি গোল পেতে পারত। কিন্তু হিয়ুন-উ যে একাই কাল সুইডেনকে থামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন। বার্গের তিনটি শট ছাড়াও ইয়ানসেন, ক্ল্যাসন কিংবা গ্রাঙ্কাভিস্তদের বারবার হতাশ করেছে কোরীয় রক্ষণ।
কিন্তু ৬২ মিনিটে আর রক্ষা পায়নি দলটি। ভিক্টর ক্ল্যাসনকে ডি-বক্সে ট্যাকল করেন কিম মিন-উ। প্রথমে সুইডেনের আবেদনে রাজি না হলেও পরে ভিএআরে সিদ্ধান্ত বদলান রেফারি। ঠান্ডা মাথায় পোস্টের ডান দিকে বল পাঠিয়েছেন গ্রাঙ্কাভিস্ত।
এরপরও সুইডেনের আক্রমণের ধার কমেনি। তবে দক্ষিণ কোরিয়াও আক্রমণে উঠেছে জোরেশোরে। কিন্তু তাদের সব তোড়জোড় ছিল ডি-বক্স পর্যন্ত। বক্সের ধারে কাছে এলেই কেন যেন আক্রমণের সুর কেটে গেছে। যোগ করা সময়ের প্রথমে হোয়াং হি-চানের হেড একটুর জন্য পোস্টের পাশ কেটে বেরিয়ে গেলে হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে কোরিয়াকে। তাতেই এক যুগ পর বিশ্বকাপে ফিরেই শুভ সূচনা হয়ে গেল সুইডেনের।
"