পাবনা প্রতিনিধি
পাষন্ড বাবা!
ঈশ্বরদী শহরের কলেজ রোডের অরণকোলা এলাকা থেকে দেড় মাস বয়সি শিশু চুরির মিথ্যে ঘটনা ফাঁস হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাড়ির স্টিলের আলমারি থেকে শিশু আতিকা জান্নাতের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনাটি প্রকাশ হয়। কন্যা হত্যার দায়ে আতিকা জান্নাতের বাবা আশরাফুল ইসলাম (৩৩), দাদা মো. আইয়ুব আলী খান (৭২), দাদি সেলিনা খান (৬৮) ও আশরাফুল ইসলামের মামি জোৎস্না খাতুকে (৫৭) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দেড় মাস বয়সি শিশু চুরির খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসন ওই বাড়িতে যায় এবং পর্যবেক্ষণ করে। কিন্তু এর কোনো কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। সন্দেহজনকভাবে পাশের বাড়ির চারজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। ওই চার ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। এর পর বাড়িতে থাকা স্টিলের আলমারির চাবি চাইলে বলা হয়, হারিয়ে গেছে। এতে সন্দেহের মাত্রা বেড়ে গেলে আলমারি ভেঙে জান্নাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পর পর কন্যাশিশুর জন্ম এবং সাত মাসে ভূমিষ্ঠ হওয়া আতিকা জান্নাতের জন্ম পরিবারটিকে আনন্দহীন করে তোলে। বংশের বাতি জ্বালাবে কে, ছেলে সন্তান না হওয়ায় মেয়েকে হত্যা করল বাবা আশরাফুল ইসলাম।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, শিশু আতিকা জান্নাত চুরির খবর পেয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হই। বাবা, দাদা ও দাদি কৌশলে বাচ্চার মাকে ছাদে পাঠিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিকভাবে অস্বাভাবিক দেড় মাসের কন্যাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করে স্টিলের আলমারিতে রেখে দেয়। বাচ্চার মা এসে বাচ্চাকে না পেলে, সবাই প্রতিবেশীদেরকে দায়ী করে। শিশুর পরিবারের সন্দেহের কারণে প্রতিবেশীদের চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসা করা হয়। অবশেষে শনিবার রাতে নিজ বাড়ির স্টিলের আলমারি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু সন্তান হত্যার দায়ে বাবা, দাদা, দাদি ও বাবার মামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শা¯িরÍ দাবি করেছে।
"