ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবুর্গে একটি ক্রিসমাস মার্কেটের কাছে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পলাতক বন্দুকধারীর খোঁজে পুলিশের অভিযান চলছে। প্লেস ক্লিবের সেন্ট্রাল স্কয়ারের একটি ক্রিসমাস মার্কেটের কাছে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ওই গুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

২৯ বছর বয়সী বন্দুকধারীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগেই ‘সম্ভাব্য অপরাধী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছেন ফ্রান্সের সন্ত্রাসবিরোধী কৌঁসুলিরা। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ্রিস্টোফ কাস্তেনেয়ার বলেন, তিনি (বন্দুকধারী) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দুইবার সংঘর্ষেও লিপ্ত হন। বুধবারের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বন্দুকধারী যেন সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান খ্রিস্তোফ।

ফ্রান্সজুড়ে অন্যান্য ক্রিস্টমাস মার্কেটের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে তিনশ সদস্য বন্দুকধারীর খোঁজে তৎপর রয়েছে। হামলাকারী স্ট্রসবুর্গের বাসিন্দা। ন্যুডর্ফ জেলায় তার অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালানোর সময় একটি গ্রেনেডও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিএফএম টেলিভিশন।

বন্দুকধারী ওই এলাকাতেই থাকতে পারেনÑ এমন আশঙ্কায় সব বাসিন্দাকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেছে সেখানকার পুলিশ। কাছাকাছি অবস্থিত ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও তাজানি টুইটারে বলেছেন, তারা সন্ত্রাসী বা বন্দুকধারীর হামলায় ‘মোটেই ভীত নন’।

‘গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল, আতঙ্কিত মানুষজন যে যেদিকে পারছে দৌড়াচ্ছিল। এটি প্রায় মিনিট দশেক ধরে চলে,’ বিএফএম টিভিকে এমনটাই বলেন এক দোকানদার। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ব্রিটিশ সদস্য রিচার্ড করবেট ঘটনার সময় শহরের একটি রেস্তোরাঁয় ছিলেন। টুইটারে তিনি জানান, বন্দুকধারীর গুলির সময় ওই রেস্তোরাঁর দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বুধবার স্ট্রাসবুর্গের ওই ক্রিসমাস মার্কেটটি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শহরের মেয়র রোলান্ড রাইস। নিহতদের স্মরণে পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও একটি শোক বই খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

"