আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ নভেম্বর, ২০১৮

কতদূর যাবে ট্রাম্প বনাম মার্কিন মিডিয়ার যুদ্ধ?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে একসঙ্গে মামলায় লড়ছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও ফক্স নিউজ। এর মধ্যে সিএনএন পরিচিত ট্রাম্পবিরোধী হিসেবে আর ফক্স নিউজ পরিচিত ট্রাম্প সমর্থক হিসেবে। এ ছাড়াও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, এপি, ব্লুমবার্গ, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, পলিটিকোসহ আরো ১৩টি সংবাদ সংস্থা জিম অ্যাকোস্টা ও সিএনএনের করা মামলাকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফক্স নিউজের প্রেসিডেন্ট জে ওয়ালেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কিছু প্রেসের যে অত্যন্ত তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, তা আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু আমরা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম, খোলামেলা কথাবার্তা ও যেকোনো জায়গায় যাতায়াতের অধিকারকে সমর্থন করি। সেটা দেশের মানুষের স্বার্থে।’ অন্য ১৩টি সংগঠন একত্রিত হয়ে জানিয়েছে, ‘রাজনীতি হোক বা অর্থনীতি বা জাতীয় নিরাপত্তাÑ সব বিষয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন করার অধিকার রয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, এই প্রেসিডেন্টকে বা অন্য যেকোনো প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করার অধিকার সাংবাদিকদের আছে। মানুষের কাছে তিনি দায়বদ্ধ, সেটা তিনি অস্বীকার করতে পারেন না। তাই প্রেসিডেন্টের কাছে যাওয়ার অধিকার গায়ের জোরের কোনো কারণ দেখিয়ে কেড়ে নেওয়া যায় না।’ সম্প্রতি সিএনএনের সাংবাদিক জিম অ্যাকোস্টা হোয়াইট হাউসের ভিতরেই শরণার্থী নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন। সে প্রশ্ন নিয়ে দুই পক্ষের বিতন্ডাও হয়। তার পরেই ট্রাম্পের নির্দেশে তাকে হোয়াইট হাউসে আর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

সিক্রেট সার্ভিসেসের লোকেরা তার ‘হোয়াইট হাউস অ্যাকসেস’ কার্ডও কেড়ে নেন।

এরপরই অ্যাকোস্টা ও সিএনএন ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে বলা হয়, এক জন সাংবাদিক তার বাক স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন। সেজন্য তাকে হোয়াইট হাউস আর ঢুকতে দিচ্ছে না। এই মামলাতেই ট্রাম্পের সমর্থকবিরোধী, প্রতিটি মিডিয়াই একজোট হয়ে সিএনএনের পাশে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নতুন কিছু নয়। সংবিধানের ‘ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট’ বা প্রথম সংশোধনী দ্বারা তা সুরক্ষিত। সেখানে স্পষ্ট বলা রয়েছে, সরকার কোনোভাবেই বাক্ স্বাধীনতায় বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না। তবে এত কিছুর পরেও ট্রাম্প আছেন ট্রাম্পেই। তিনিও নিজের জায়গায় অনড়। এই মামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অ্যাকোস্টার মতো লোকেরা দেশের জন্য বিপদ। বাজে লোক উনি।’ ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তার তিক্ততা চরমে ওঠে। তবে অ্যাকোস্টার ঘটনা ছাড়িয়ে গেছে সব কিছুকেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close