৪০ জন বন্দির সঙ্গে আছেন মইনুল
ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কারাগারে নেয়ার পর সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। তাকে 'আমদানি ওয়ার্ড' নামের একটি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে অন্য আরো ৪০ জন বন্দির সঙ্গে। উল্লেখ্য, সেখানে কোনও খাট বা চেয়ারের ব্যবস্থা নেই।
'আমদানি' ওয়ার্ডটি এমন একটি ওয়ার্ড যেখানে নতুন বন্দিদের রাখা হয়। ব্যারিস্টার মইনুলের বিষয়ে আদালত থেকে কোন বিশেষ নির্দেশনা না থাকায় তাকে আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা।
রংপুরে করা মানহানির একটি মামলায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে আটক করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিলি মায়া বেগম নামে এক নারী মানহানির মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন ‘একাত্তরে’ টক শোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এ ঘটনায় ‘তথ্য চেয়ে’ মাসুদা ভাট্টিকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। আর দেশজুড়ে এ পর্যন্ত মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আটটি মামলা হয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব