জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষী কারাগারে
অস্ত্র আইনে করা মামলায় যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চার দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. ফজলুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ৭ আসামিরা হলো মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, চার দিনের রিমান্ডে মামলা সম্পর্কে আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যাদি মামলার তদন্তে যথেষ্ট সহায়ক হবে। তাদের দেওয়া তথ্য ও নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে আসামিরা জামিনে মুক্তি পেলে পালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার, শওকত ওসমান জামিন আবেদন করেন। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন। এদিকে এ সাত আসামির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে নিকেতনের ৫নং রোডের ১৩নং বাড়িতে জি কে শামীমের অফিসে অভিযান শুরু করে র্যাব। পরে দুপুর ১২টার দিকে একই রোডের জি কে শামীমের ১৪৪নং নিজের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের সময় সেখানেই অবস্থান করছিলেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছয় দেহরক্ষীকে আটক করা হয়। শামীমের অফিস থেকে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ নগদ প্রায় ২ কোটি টাকা জব্দ করা হয়। শামীমের কাছে একটি অস্ত্রও পায় র্যাব।
পিডিএসও/তাজ