reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি

কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র মুতাসসিম বিন মাজেদ ওরফে হৃদয় (১৪) অপহরণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল) বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—শহরের কালিশংকরপুর এলাকার গাফফার খানের ছেলে সাব্বির খান, হাউজিং এ ব্লকের আজম আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন ড্যানী ও ভেড়ামারা উপজেলার দশমাইল ক্যানেল পাড়ার মৃত মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম শেখ ওরফে ইপিয়ার। রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি সাব্বির খান উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুজন পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া পূর্বপাড়া এলাকা থেকে জিলা স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র হৃদয়কে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণের চারদিন পর অপহরণকারীরা তার মা তাসলিমা খাতুনের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ হিসাবে ১২ লাখ টাকা দাবি করে। দেন-দরবার শেষে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা হৃদয়কে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়। অপহরণকারীদের কথামতো ২ জুন গোপনে নির্দিষ্ট স্থানে ২ লাখ টাকা পৌঁছে দেয় হৃদয়ের মা তাসলিমা খাতুন। তারপরও কথামতো অপহরণকারীরা হৃদয়কে ফেরত না দিলে হৃদয়ের মা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০-এর ৭/৮ ধারা আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করে। আটককৃতদের তথ্যানুযায়ী, ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া হাউজিং এলাকা থেকে আজব আলীর ছেলে অপহরণকারী হেলাল উদ্দীন ওরফে ড্যানীকে (২২) আটক করে পুলিশ।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হৃদয়কে অপহরণ করার কথা স্বীকার করে জানায়, ভেড়ামারার ১০ মাইল এলাকার মসলেম শেখের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে ইপিআরের মাধ্যমে অপহৃত হৃদয়কে হত্যা করে ভেড়ামারা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ১০ মাইল নামক স্থানে ফখরুলের ইটভাটার পাশে মিজানুর রহমানের জমিতে লাশ পুতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে হৃদয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
অপহরণ,ফাঁসি,কুষ্টিয়া
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close