চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর স্ট্যাটাস

চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার

প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট শেয়ারের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই-প্রশাসন) আবুল কাশেম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন এক যুবলীগ নেতা। আবেদনটি সোমবার মঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খানের আদালত।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুরজিত রাহা দাশু বলেন, প্রতিপক্ষ ট্রাফিক পরিদর্শক আবুল কাশেম চৌধুরীর সাথে আমার মক্কেলের আপোষ হয়েছে। তাই আপোষের ভিত্তিতে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আদালত প্রত্যাহারের দরখাস্ত মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট নগরের গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড যুবলীগের সহ দপ্তর সম্পাদক শেখ আহম্মদ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় একমাত্র আসামি ট্রাফিক পরিদর্শক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৫০০, ৫০১ ও ৫০৫(ঘ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। সেদিন অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন আদালত।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট একটি অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ঘৃণ্য ফেসবুক স্ট্যাটাসের পরও বহাল টিআই কাশেম’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত সংবাদটি বিস্তারিত পড়তে গিয়ে দেখতে পাই ২০১২ সালের ৫ জুলাই জনৈক হাবিব বিন ইসলাম তার নিজের ফেসবুক আইডিতে লিখেন ‘হাসিনা পুত্রবধূ ইয়াহুদী, বোনের পুত্রবধূ খ্রিস্টান, আসল দাদা-দাদী ছিল হিন্দু, মেয়ের শ্বশুর গোষ্ঠী রাজাকার, দলের সেক্রেটারী জেনারেলের বউ খ্রিস্টান, ধর্মনিরপেক্ষতায় অপূর্ব সমন্বয়।’ এরপর আমি টিআই আবুল কাশেম চৌধুরীর আইডিতে ঢুকে তার শেয়ারকৃত স্ট্যাটাসটি দেখতে পেয়ে অত্যন্ত মর্মাহত হই।

এজাহারে আরও বলা হয়, স্ট্যাটাসটি মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টিকর এবং জাতির জন্য চরম অবমাননাকর। এতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে আসামির অপচেষ্টা ছিল। আসামি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারি হয়েও দেশের একজন প্রজ্ঞাবান, বিচক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চরম মানহানিকর উক্তি শেয়ার করে বিভিন্ন লোক ও সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামার উসকানি ও শত্রুতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। যা কেবল প্রধানমন্ত্রী কিংবা তার পরিবারের জন্য নয়, আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের জন্যও চরম মানহানিকর। এর ফলে বাদী মারাত্মক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং আওয়ামী সংগঠনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ও নেতা-কর্মীদের মানহানি হয়।

পিডিএসও/এআই

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
প্রধানমন্ত্রী,মানহানিকর,স্ট্যাটাস,পুলিশ কর্মকর্তা,মামলা,প্রত্যাহার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close