রাজশাহী ব্যুরো
অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে জরিমানা
রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির দায়ে এক ফার্মেসী মালিকের জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ রনী খাতুন জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের শিশু সন্তানের ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসক ‘সিএমজেড প্লাস’ নামে একটি ওষুধ লিখে দেন। ওই শিক্ষক নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের জনপ্রিয় ফার্মেসিতে সেটি পান। ওষুধটির উৎপাদনকারী হিসেবে ভারতের গুজরাটের গান্ধিনগরের একটি ওষুধ কোম্পানীর নাম লেখা রয়েছে। কিন্তু ওই কোম্পানী ওষুধটি প্রস্তুত করে না এমন অভিযোগ করেন ওই শিক্ষক। বুধবার দুপুরে ফার্মেসিতে অভিযান চালালে ওই ওষুধটা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ভারতের যে কোম্পানীর নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেই কোম্পানী এই ওষুধ তৈরির অনুমোদন নেই। তাই অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অপরাধে ফার্মেসিটিকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছেন।
এদিকে, বুধবার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নগরীর শিরোইল হাজরাপুকুর এলাকার ‘শাহী লাচ্ছা সেমাই’ কারখানায় অভিযান চালায়। এ সময় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় কারখানাটিকে। বিএসটিআই’য়ের অনুমোদন ছিল না কারখানাটির। তারপরেও মান নিয়ন্ত্রণকারী এই সংস্থার লোগো ব্যবহার করা হতো কারখানাটির সেমাইয়ের প্যাকেটে। তাই এই জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, গত ৩০ মে তারা বড়কুঠি এলাকার কফি বার রেস্তোরাঁয় অভিযান চালান। এ সময় সেখানে নোংরা পরিবেশে খাবার রাখতে দেখা যায়। খাবারের ভেতর তেলাপেকাও পাওয়া যায়। তাই ভোক্তা অধিকার আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। এই অর্থ পরিশোধে রেস্তোরাঁ মালিককে ৬ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরে বুধবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে গিয়ে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন। এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
পিডিএসও/রানা