রিহাব মাহমুদ
জিসানের ওপর হামলা : এখনো মামলা নেয়নি রামু থানা
থানায় এজাহার লিখে দিয়ে এলেও এখনো মামলা নেয়নি বলে জানিয়েছেন দিদারুল আলম জিসানের স্বজনরা। জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১টার দিকে রামু থানায় এজাহার লিখতে যান জিসানের শ্বশুর নুর মোহাম্মদ ও ছোট বোনের স্বামী আবু তাহের।
আবু তাহের বলেন, আমরা থানায় গিয়ে ওসিকে পাইনি। ওনার রুম তালাবদ্ধ। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ফজলুল করিম আমাদের অভিযোগ এজাহার আকারে লিখে নিয়ে বলেন, এখন ওসি সাহেব নেই। আপনারা সন্ধ্যায় খবর নেবেন।
কিন্তু সন্ধ্যায় খবর নেওয়ার জন্য ফোন করলে থানা থেকে বলা হয় ওসি সাহেব এখনো থানায় আসেনি। এমন গড়িমসির কারণে জিসানের স্বজনরা আশংকা প্রকাশ করছেন।
এদিকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাঁতরাচ্ছেন গুরুতর আহত দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি দিদারুল আলম জিসান। কক্সবাজারের আল ফুয়াদ হাসপাতালের ডাক্তার এস এম সারোয়ার জিসানকে ৩ দিন অবর্জাবেশনে রাখার কথা বলেছেন। ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার পর জিসানের অবস্থা অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছেন জিসানের স্বজনরা।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় জিসানের ছোটো ভাই আনোয়ারের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায় জিসানের শরীর ক্রমে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কোনো খাবার মুখে নিতে চাচ্ছেন না জিসান। দুপুরে জিসানের স্ত্রী কোহিনূর আক্তারও একই কথা জানিয়েছিলেন। জিসানের স্বজনরা বারবার অভিযোগ করছেন হামলাকারী আবু বক্করের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা।
এই রিপোর্ট লেখার সময় রামু থানা কতৃপক্ষ এজাহারের বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন জিসানের ছোট ভাই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ প্রকাশের জেরে রামু প্রতিনিধি জিসানের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসী আবু বক্কর ও তার সঙ্গীরা। জিসানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মোটর সাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত জিসানকে স্থানীয়রা কক্সবাজার সদর হাসাপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিসানকে তাৎক্ষণিক নিকঠস্থ আল ফুয়াদ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।
বর্তমানে আল ফুয়াদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিসান।